জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো। যদিও দেশ স্বাধীন হওয়ারও আগে থেকে শুরু হওয়া সেই জমিদার বাড়ির দুর্গা পূজা আজ হয়েছে সর্বজনীন। নাহ এখন জমিদারি শাসন নেই, জৌলুস নেই ঠিকই কিন্তু যা আছে তা হল জমিদারি আমলের সমস্ত নিয়ম, রীতি মেনেই নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো। রাজনৈতিক ভাবে যখন বিভেদের তোড়জোড় চলছে। মমতার বাংলায় তখন দেখা যায় এই সম্প্রীতির ছবি।
এ বছর ১২৬তম বর্ষে পা দিল মালদার হরিশচন্দ্রপুর থানার প্রত্যন্ত এলাকার “ভালুকা বাজার সর্বজনীন দুর্গাপূজা।” সেই পুজোয় এবারের থিম, একটি গাছ একটি প্রাণ। পুজো উদ্যোক্তা কমিটির তরফে জানা গেছে, জমিদার পরিবারের হাতে শুরু হওয়া এই পুজো এলাকার মানুষই নিজেদের কাঁধে নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে পরিচালনা করে আসছে। হিন্দু বা মুসলিম নির্বিশেষে ভালুকাবাসী মিলিত হয়ে এই পুজো পরিচালনা করে আসছেন। কেউ চাঁদা তোলেন, কেউ ভোগ রাঁধেন, কেউ মূর্তি আনেন। কোন কাজটা কোন ধর্মের মানুষ করছেন, তা নিয়ে কোনও ভেদাভেদ থাকে না।
শহরে টের না পেলেও, সে গাঁয়ে শরতের সকালে এখনও দিব্যি ভাসে শিউলির গন্ধ। কারণ আর দিন কয়েক পরেই মা আসছেন। আপামর বাঙালি মেতে উঠবে শ্রেষ্ঠ উৎসবের আনন্দে।
ভালুকা বাজার এলাকায় মা দুর্গার স্থাপিত সুবিশাল মন্দির রয়েছে। সেই মন্দিরেই মায়ের পুজো করা হয় আজও। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ১২৬ বছর আগে ভালুকা এলাকায় বসবাস ছিল মিশ্র পরিবারের। তারা ছিল জমিদার। সেই জমিদার পরিবারের সদস্য সরেন্দ্র মোহন মিশ্রের হাতেই সৃষ্টি এই পুজো।