এলটিসি খাতে ট্রেন অথবা বিমানে যাতায়াতে ভাড়া পাওয়া গেলেও তার বেশি আর কিছু পাওয়া যাবে না। কেউ যদি লুকিয়ে এলটিসির নাম করে বেড়াতে গিয়ে যাতায়াতের খরচের সঙ্গে হোটেল অথবা খাওয়াদাওয়ার খরচ ঢুকিয়ে নেন তাহলে সেই টাকা ফেরত দিতে হবে। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ওই রকম অতিরিক্ত টাকা নেওয়া থাকলে তা ফেরত দেওয়ার জন্যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে তা দেওয়া না হলে কিংবা এই বিষয়ে অর্থ দফতর কোনও টাকা নয়ছয়ের প্রমাণ পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য পুজোর মুখে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেড়াতে যাওয়ার খরচে লাগাম টানে নবান্ন। নির্দেশিকা জারি করে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, লিভ ট্রাভেল কনসেশন তথা এলটিসি-র ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যাতায়াতের ভাড়া দেবে সরকার। অন্য কিচ্ছু নয়। এবং হিসেব পরিষ্কার রাখতে সরকারি কর্মচারীদের কী কী করতে হবে, তা-ও বলে দেওয়া হয় নবান্নের তরফে। চলতি মাসের ছয় তারিখ এই নির্দেশিকা রাজ্য প্রশাসনের তরফে জারি করা হয়। এই নির্দেশিকা জারি করে নবান্নের তরফে স্পষ্ট করে এলটিসি-র ব্যাপারে কয়েকটি জিনিস বলে দেওয়া হয়েছে। সেগুলি এক নজরে- সরকার শুধু যাতায়াতের খরচ দেবে, সেই টিকিট (বিমান, ট্রেন বা বাস যা কিছু হতে পারে) কাটতে হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাউন্টার থেকে বা অনলাইনে, কোনও ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট কাটলে সেই পয়সা সরকার দেবে না, টিকিটের ফটোকপি আগে জমা দিতে হবে সরকারকে। নাহলে আটকে যাবে টাকা, কোনও প্যাকেজ সিস্টেমের বিল সরকার গ্রহণ করবে না জারি করা নির্দেশিকা স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য চার বছর অন্তর সরকারি কর্মীরা বেড়াতে যাওয়ার টাকা পান। সরকার এই টাকা দেয়। দেশ কিংবা বিদেশে যাওয়ারও সুযোগ পান তারা। তবে নিয়ম বলছে, প্লেন, ট্রেন বা বাসে যাতায়াতের খরচ দেবে সরকার। বাকি আর কিছু নয়। কিন্তু অর্থ দফতরের নজরে আসে বিপুল পরিমাণ টাকা চলে যাচ্ছে এলটিসি-তে। আর তা কীভাবে যাচাই করতে গিয়ে সামনে আসে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য। দেখা যায়, এই সমস্ত ভাড়া ছাড়াও, প্রচুর বিল জমা পড়ছে। সমস্ত টাকাই নিয়ে নিচ্ছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। আর তা রুখতেই আরও কড়া নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন।