চিন্ময়ানন্দকাণ্ডে এ বার গ্রেফতার অভিযোগকারিণীকেই গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। শাহজাহানপুরের ওই আইনের ছাত্রীকে গ্রেফতার করা হল তোলাবাজির অভিযোগে। বুধবার সকালে বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ জোর করে কার্যত টানতে টানতে তাঁকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। এমনকি, তাঁকে চটি পরার সুযোগ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
মঙ্গলবার তিনি যখন উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানাতে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে রাস্তা থেকেই তুলে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। অভিযোগকারিণীর জামিনের আর্জি আগামী বৃহস্পতিবার শোনা হবে বলে জানিয়েছিল আদালত। তবে তার আগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হল।
সিটের দাবি, তাদের কাছে চিন্ময়ানন্দের কাছ থেকে তোলা চাওয়ার ভিডিয়ো রয়েছে। নির্যাতিতা ছাড়া বাকি ধৃতদের নাম সঞ্জয় সিং, সচিন সরকার ও বিক্রম বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তাদের বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
অভিযোগকারিণী আইন পড়ুয়া অবশ্য আগে এক সাক্ষাৎকারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, ‘ন্যায়বিচার পাওয়ার যে কোনও সম্ভাবনাই নেই জানতাম। আমাকে কী ভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে তা বিশদ পুলিশকে জানিয়েছিলাম। তার পরেও ওর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হল না। চিনন্মায়নন্দের গ্রেপ্তারির পিছনে যে চক্রান্ত করা হয়েছে, সেটা-ও বুঝতে পারছি না। তোলা আদায়ের সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই।’
ওই ছাত্রীর অভিযোগ, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন চিন্ময়ানন্দ। গত ২৪ অগস্ট বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ এনেছিলেন এই ছাত্রী। তিনি বারবারই দাবি করেছেন, চিন্ময়ানন্দ তাঁকে ব্ল্যাকমেল করেছেন। তাঁকে বন্দুক দেখিয়ে দিনের পর দিন নিপীড়ন চালানো হয়েছে। বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর হাতে মোট ৪৩টি ভিডিও তুলে দিয়েছিলেন অভিযোগকারিণী। সিটের তরফে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় চিন্ময়ানন্দকেও। তাঁর আইনজীবী পাল্টা তোলাবাজির অভিযোগ আনেন অভিযোগকারিণী ছাত্রী এবং তাঁর তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে।