সোমবার কলকাতা লিগে পিয়ারলেসকে হারিয়ে প্রায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মেজাজ সাদা-কালো শিবিরে। এদিন জিতে ১০ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করে টেবিলের শীর্ষে উঠে এল দীপেন্দু বিশ্বাসের দল। পিয়ারলেস ৯ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তারপরেই ৯ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পিয়ারলেসের থেকে গোলপার্থক্যে পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে ইস্ট বেঙ্গল। লিগের খেতাবি লড়াই এখন ত্রিমুখী।
তবে এদিন মহমেডানকে জয় উপহার দিয়ে খেতাবের দৌড়ে পিয়ারলেস নিজেদের সামনেই বড় বাধা তৈরি করল। পিয়ারলেসকে ডোবালেন দুই বাঙালি ফুটবলার দীপেন্দু দুয়ারি ও জিতেন মুর্মূ। বড় ক্লাব বাতিল পিয়ারলেসের এই দুই অ্যাটাকার তিনটি সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে ম্যাচ অনেক আগেই পকেটে পুরে ফেলতে পারত অফিস ক্লাবটি। ম্যাচের ৯ মিনিটের মাথায় টপ বক্সের মাথা দীপেন্দু দুয়ারি সামনে অসহায় গোলরক্ষককে পেয়েও হেলায় পোস্টের উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন। বিরতির ঠিক আগে একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে দীপেন্দু দুয়ারি মহমেডান গোলরক্ষক প্রিয়ন্ত সিংয়ের হাতে হাতে মারেন। ৫৩ মিনিটে মহমেডানের বিদেশি স্টপার করিম ওমালাজা বক্সে ট্রিপ করেন অ্যান্টনি উলফকে। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পিয়ারলেসের স্ট্রাইকার জিতেন মুর্মু যখন পেনাল্টি মারতে যাচ্ছেন, তখন তাঁর পা প্রায় কেঁপে গিয়েছে। পোস্টের পিছনের গ্যালারিতে তখন মহমেডান সমর্থকরা ড্রাম-ব্যান্ডের তালে তালে নাচতে শুরু করে দিয়েছেন। জিতেন দেখেশুনে শট মারলেন ক্রসপিসের উপরে!
পিয়ারলেসকে পেনাল্টি উপহার দেওয়ার প্রায়শ্চিত্ত করলেন মহমেডান স্টপার করিম ওমালাজা। ৬১ মিনিটে বক্সের বাইরে করিমের শট ড্রপ খেয়ে পিয়ারলেস গোলরক্ষক জেমসের ডানদিক দিয়ে জালে জড়িয়ে যায় (১-০)। ৭০ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে তীর্থঙ্করের লম্বা সেন্টার চাংটে রিসিভ করে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের শটে জাল কাঁপান (২-০)। আর তারপরেই ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই উত্তাল হয়ে উঠল সাদা-কালো সমর্থকরা।