মোদী সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই কেন্দ্রীয় নীতির জেরে দেশের অর্থনীতিতে গভীর মন্দা ও নীতি-পঙ্গুত্ব দেখা দিয়েছে। নগদ টাকার জোগান নেই। জিডিপি মুখ থুবড়ে পড়েছে। অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা লাগছে সবরকম শিল্পে ও পেশায়। আসন্ন শারদোৎসবেও পড়ছে সেই কালো ছাপ। এখনও বেতন হয়নি বহু বেসরকারী সংস্থার। খবর নেই বোনাসেরও। তাই দুর্গাপুজার মতো বিরাট উৎসব হলেও অন্যান্যবারের মতো সরগরম নয় বাজার।
কলকাতার বাজার, হাওড়ার হাট যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি ও দক্ষিণবঙ্গের বর্ধমান সদরের বাজার। কিন্তু দুর্গাপুজোর এক সপ্তাহের আগের পরিস্থিতি তেমন আশাপ্রদ নয় কোনও খানেই। বর্ধমানে পুজোর বাজার তেমন জমে না ওঠায় বাড়ছে বিক্রেতাদের দুশ্চিন্তা। বাজারে আগের মতো ভিড়ই নেই – বলছেন খোদ বিক্রেতারাই। বর্ধমান শহরের অধিকাংশ বিক্রেতাই জানিয়েছেন, অন্যান্য বছর যে বিক্রি হয় এখনও গড়ে ৫০ শতাংশের বেশি সেই বিক্রি হয়নি।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থনৈতিক মন্দার জেরে বহু প্রতিষ্ঠানেই বোনাসের খবর মেলেনি – যার ওপর ভিত্তি করেই পুজোর কেনাকাটায় আসে জোয়ার। বর্ধমান শহরের বেশ কয়েকটি শপিং মলের স্টোর ম্যানেজাররা সাফ জানিয়েছেন, পুজোর বিক্রি বলতে যা বোঝায় এখনও তার দেখা মেলেনি। হাতে আরও কয়েকদিন রয়েছে ঠিকই, এমনকি তাঁরা সেইদিকেই তাকিয়ে থাকলেও আদপেই কি পরিস্থিতি দাঁড়াবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না।
শহরের বেশ কয়েকটি বড় বড় শাড়ি পোশাকের দোকানের মালিকরাও জানিয়েছেন, এবারে পুজোর বাজার নিয়ে তাঁদের রাতের ঘুম উড়ে যেতে শুরু করেছে। কারণ পুজোর বাজারের জন্য যেমন পর্যাপ্ত স্টক রাখতে হয়েছে, তেমনি অতিরিক্ত কর্মীও নিয়োগ করতে হয়েছে। কিন্তু এখনও সে অর্থে বাজার জমেনি। ব্যবসাদাররা জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত যে বিক্রির ট্রেণ্ড দেখা যাচ্ছ, তাতে একেবারে নিম্ন আয়ের মানুষ এবং একেবারে উচ্চবিত্তদের কেনাকাটাই চলছে। মধ্যবিত্তদের দেখা মিলছে না।