চলতি কথায় বলা হয়, “কুড়িতেই বুড়ি”। যদিও ছেলেদের ক্ষেত্রে বয়স কোনও ব্যাপার নয়, কারণ “ ব্যাকা হলেও তা সোনার আংটি”। তাই একটা সময় মেয়ের বয়স কুড়ি হওয়ার আগেই তাঁর বিয়ের বন্দোবস্ত করতেন তাঁর মা-বাবা। তারপর দিন বদলালো। এখন ছেলে বা মেয়ে বয়স কমপক্ষে তিরিশ না হলে কেউ ভাবেই না বিয়ের কথা। কিন্তু তাই বলে ৫০ বছরে বিয়ে! হতেই পারে। বৃদ্ধ বয়সেই মানুষের সঙ্গীর বা অবলম্বনের দরকার হয় আরো বেশি করে। তাই সে কথা মাথায় রেখেই আয়োজন করা হল পঞ্চাশোর্ধ পুরুষ এবং মহিয়াদের জন্যে এক অভিনব স্বয়ম্বর সভার।
অত্যন্ত অভিনব এই স্বয়ম্বর সভার আয়োজন করেছিল বিশাখাপত্তনমের একটি সংস্থা, যার নাম অনুবন্ধ ফাউন্ডেশন। সংস্থাটি প্রায় ২০০ জন পঞ্চাশোর্ধ পুরুষ-মহিলাকে নিয়ে এই সয়ম্বর সভার আয়োজন করে। রবিবার এই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। মোট তিন ভাগ করা হয়েছিল এই সয়ম্বর সভাকে। প্রথমে নিজের পছন্দের পার্টনারের সঙ্গে প্রাথমিক আলাপচারিতা করেন দুজন মানুষ, পরের রাউন্ডে দুজনের মধ্যে ব্যক্তিগত কথা বলার সময় দেওয়া হয়, আর শেষ রাউন্ডে আয়োজকরা দুজনের সঙ্গেও কথা বলে পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
আজকালকার দিনে যেখানে ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট আর ডেটিং অ্যাপ্লিকেশনই হয়ে উঠেছে জেন ওয়াইয়ের সবচেয়ে পছন্দের জিনিস, সেখানে অহমেদাবাদের এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি ফিরে গিয়েছে সেই ঐতিহ্যের আকড়ে। প্রতিটা মানুষেরই প্রেম-ভালোবাসায় মুড়ে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। হোক না তা জীবনের সেকেন্ড ইনিংসে, ক্ষতি কী!