আসামে এনআরসি হওয়ার পর থেকেই গোটা দেশজুড়ে এনআরসি চালু করার দাবি তুলেছে বিজেপি। কিন্তু প্রথম থেকেই এ নিয়ে চরম বিরোধিতা করে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও আসামে এনআরসির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের পর থেকেই বাংলা জুড়ে এনআরসি আতঙ্ক দানা বেঁধেছে। যে কারণে আত্মহত্যার সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এখন পর্যন্ত বাংলায় ৭ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এনআরসি আতঙ্কে।
আর পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ভোল বদলে নিজে একদম ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেইসঙ্গে তিনি দায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রীর ওপর। শিলিগুড়িতে এদিন তিনি বলেন, ‘আমরা কি এনআরসির দাবিতে রাস্তায় নেমেছি? মুখ্যমন্ত্রী এনআরসি-কে বাংলার ইস্যু করে তুলেছেন।’
নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করছেন, অথচ দিলীপ ঘোষই প্রায় দিন এনআরসি-র পক্ষে সওয়াল করে চলেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবেই। বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের থাকতে দেবে না বিজেপি।’ তাঁর দাবি ছিল, ‘ভোটারে টান পড়বে বলেই রাস্তায় নেমেছেন মমতা।’ এদিন অবশ্য পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তিনি নিজের সুর পাল্টে ফেলেন।
দুর্গাপুজোর আগেই রাজ্যে আসছে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নেতাজি ইন্ডোরে এনআরসি নিয়েই তাঁর বক্তব্য রাখার কথা। কিন্তু তার আগেই যেভাবে বাংলায় এনআরসি আতঙ্কে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, তা নিয়ে যে বঙ্গ রাজনীতিতে রাজনৈতিক তরজা আরও বৃদ্ধি পাবে, তা বলাই বাহুল্য।