হাতে আর বেশিদিন বাকি নেই। পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি এই বাজল বলে৷ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তাই পুজোর প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে৷ উত্তর থেকে দক্ষিণ- সর্বত্রই পুজো কমিটিগুলির কর্মকর্তা এবং শিল্পীরা নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন৷ চলছে মন্ডপে-প্রতিমায় ফাইনাল টাচ দেওয়ার কাজ। যে ছবি ধরা পড়ল উত্তরের অন্যতম ‘আন্ডারডগ’ পুজো উল্টোডাঙা সংগ্রামীতেও। এ বছর ৫৭ তম বর্ষে পদার্পণ করল এই পুজো।
পুজো কমিটির তরফে অ্যাসিস্ট্যান্ট কালচারাল সেক্রেটারি তাপস সাহা এখন খবরকে বলেন, “এ বছর আমাদের নিবেদন ‘থিম যখন সৃষ্টি সুরের রূপকথায় পার্ট টু’। এবার পার্ট টু কারণ এই থিমের প্রথম অধ্যায় হয়েছিল ২০১৭ সালে। সে বছর আমাদের শিল্পী অভিজিৎ ঘটক সঙ্গীতশিল্পী সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাওয়া রাধারমণ দত্তের ‘ভ্রমর কইয়ো গিয়া’ গানটিকেই থিম হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। তারই দ্বিতীয় অধ্যায় হিসেবে এবারের মন্ডপ ভাবনায় সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাওয়া রাধারমণ দত্তেরই আরও একটি গান, ‘নাইয়া রে’কে বেছে নিয়েছেন তিনি।”
তাপসবাবু জানান, “কৃষ্ণ রাধাকে ছেড়ে মথুরা চলে যাওয়ার পর নদীর পারে এসে রাধা মাঝিকে তার দুঃখের কথা জানাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটেই লেখা হয়েছে ‘নাইয়া রে’ গানটি।
আমাদের মন্ডপে এবার এই গানটিরই রূপদান করছেন শিল্পী অভিজিৎ ঘটক। সমগ্র ভাবনাই তাঁর। আবহ সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বাজেট হচ্ছে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকা।” ২০১৩-য় এশিয়ান পেইন্টস শারদ সম্মানের পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত ছোট-বড় বহু পুরষ্কারই ঝুলিতে ভরেছে উত্তরের এই নামজাদা পুজো৷ এ বছর দর্শনার্থীদের থেকে কতটা প্রশংসা আদায় করে নেয় সংগ্রামীর পুজো, সেটাই দেখার৷