মাঠের মধ্যে ফের অভব্য আচরণের শাস্তি পেলেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয়বার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করলেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক। যার শাস্তি হিসেবে বিরাটের নামের পাশে ১ ডিমেরিট পয়েন্ট জুড়ে দেওয়া হল। এই নিয়ে তৃতীয়বার ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক। আর একবার এই ধরনের অপরাধ করলেই ২ ম্যাচের জন্য নির্বাসিত হতে হবে তাঁকে। পাশাপাশি, বিরাটকে সতর্কও করা হয়েছে আইসিসির তরফে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-২০ চলাকালীন ক্যারিবিয়ান বোলার হেনড্রিকসকে ধাক্কা মারার অভিযোগ ওঠে বিরাটের বিরুদ্ধে। রান নেওয়ার সময় কোহলির সঙ্গে ধাক্কা লাগে হেনড্রিকসের। আইসিসি সেই ধাক্কাকে ইচ্ছাকৃত বলে মনে করছে। আইসিসির তরফে এদিন এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কোহলি ক্রিকেট আইনের ২.১২ ধারা লঙ্ঘন করেছেন। কোনও ক্রিকেটার বা সাপোর্ট স্টাফ বা আম্পায়ারকে খেলা চলাকালীন যদি এমনভাবে ধাক্কা দেওয়া হয় যা যথার্থ নয়, তাহলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। কোহলিও তেমনভাবেই ধাক্কা দিয়েছেন হেনড্রিকসকে। এর ফলে কোহলিকে এক ডিমেরিট পয়েন্ট উপহার দেওয়া হয়েছে। যদিও, সেইদিনের ম্যাচ ফি থেকে কোনও জরিমানা করা হয়নি।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী কোনও ক্রিকেটার ২ বছরের মধ্য চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে তাঁকে ২ ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। কোহলি ২০১৮ সালের পর ইতিমধ্যেই ৩টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়ে গিয়েছেন। ২০১৬ সালে আইসিসির আইনে কিছু পরিবর্তন ঘটানো হয়। তখনই এই বিশেষ নিয়মটি অন্তর্ভূক্ত হয়েছিল। ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ খেলাকালীন ১ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। দ্বিতীয় ডিমেরিট পয়েন্টটি তিনি পান বিশ্বকাপে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে। কোহলির এই একের পর এক নিয়ম ভাঙার প্রবণতা মোটেই ভালভাবে দেখছে না ক্রিকেট মহল।