ষষ্ঠ পে কমিশনের সুপারিশ সিলমোহর দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন অমিত মিত্র। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ষষ্ঠ পে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী কোনও রাজ্য সরকারি কর্মীর বেতন যদি আগে ১০০ টাকা ছিল, তবে তাঁর এবার বেতন হবে ২৮০.৯০ টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বেসিক পে ও গ্রেড পে যোগ করে দেওয়া হল। একইসঙ্গে যোগ করে দেওয়া হল ডিএ-ও। ফলে আগে যে বেতন ১০০ টাকা ছিল, সেটা বেড়ে হচ্ছে ২২৫ টাকা। এবার এই ২২৫ টাকার উপর ১৪.২২ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এরফলে বর্ধিত বেতন দাঁড়াচ্ছে ২৫৬ টাকা। এখন ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত, পর পর ৩ বছর ৩ শতাংশ করে বেতন বৃদ্ধি এই ২৫৬ টাকার সঙ্গে যোগ করা হচ্ছে। যারফলে সবমিলিয়ে ১০০ টাকার বেতন বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ২৮০.৯০ টাকা। একইসঙ্গে দ্বিগুণ হচ্ছে গ্র্যাচুইটির ঊর্ধ্বসীমা। ৬ লাখ থেকে বেড়ে বেড়ে ১২ লাখ হচ্ছে গ্র্যাচুইটির ঊর্ধ্বসীমা। এছাড়া অন্যখাতেও বাড়ছে ভাতার পরিমাণ। ষষ্ঠ পে কমিশনের সুপারিশের থেকেও কিছু ক্ষেত্রে ভাতার পরিমাণ বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার।
অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের ঘোষণা অনুযায়ী বাড়ি ভাড়া ভাতা- ৬ হাজার থেকে বেড়ে হচ্ছে ১২ হাজার টাকা। নন প্র্যাকটিসিং অ্যালাউন্স- পে কমিশন সুপারিশ করেছিল ১ লাখ ৮০ হাজার, রাজ্য সরকার সেটাকে বাড়িয়ে করল ২ লাখ। মেডিক্যাল অ্যালাউন্স- মাসে ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০০ টাকা করার সুপারিশ করেছিল কমিশন। রাজ্য সরকার সেটাকে আরও বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করল। ঊর্ধ্বসীমা ২৫০০ থেকে বেড়ে হচ্ছে ৩৫০০ টাকা।
টিফিন খরচ- ন্যূনতম ১০ টাকা ছিল। কমিশন ২০ টাকা করার সুপারিশ করে। সেটাকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করল সরকার। আর সর্বোচ্চ ৬০ টাকাকে বাড়িয়ে করা হল ১৮০ টাকা। অমিত মিত্র জানিয়েছেন, ২০২০-র জানুয়ারি থেকে কার্যকরী হবে এই নয়া বেতনক্রম।