শেওড়াফুলি রাজবাড়িতে আজ থেকে শুরু হয়ে গেল পুজো। কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে প্রতিষ্ঠা হল বোধনের ঘট। চণ্ডীপাঠ, মন্ত্রোচ্চারণে শুরু হল পুজো। শেওড়াফুলি রাজবাড়ির বংশের রীতি অনুসারে কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে হয় দেবীর বোধন। সেই রীতি মেনেই আজ ভোরে রাজবাড়ির ঠাকুরদালানে শুরু হয়ে গেল পুজো।
বর্ধমানের পাটুলির নারায়ণপুরে রাজত্ব ছিলো দত্তদের। সেই রাজত্বে বিগ্রহের সমাহার দেখে সম্রাট আকবর নাকি দান করেছিলেন অনেক জমি। গঙ্গা গ্রাস করে সেই সব জমি। বাধ্য হয়ে পরিবার নিয়ে শেওড়াফুলিতে এসে বসতি স্থাপন করেন মনোহর দত্ত রায়। শেওড়াফুলিতে ছিল তাঁদের কাছারি। বর্ধমানের আটিসারা গ্রামে পুকুর খননের সময় স্বপ্নাদিষ্ট দশভুজা পেয়েছিলেন মনোহর রায়। অষ্টধাতুর সেই দশভুজা শেওড়াফুলিতে নাটমন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন সর্বমঙ্গলা রূপে। ২৮৬ বছর ধরে সেই অষ্টধাতুর মূর্তি পুজো হয়ে আসছে শেওড়াফুলি রাজবাড়িতে।
পুরোনো রীতি আচারে কোনও পরিবর্তন আনতে দেননি পরিবারের সদস্যরা। সারাবছর নিত্য পুজো হয় দুবেলা। তবে দুর্গাপুজোর চারদিন হয় বিশেষ পুজোপাঠ। সেই উৎসবেরই সূচনা হল আজ থেকে।