এক ভারতীয় কোচের হাত ধরে জুনিয়র পর্যায়ে ভারতীয় ফুটবল দারুণ সাফল্য পেল। আরও এক বার।ইস্টবেঙ্গলে খেলা গোয়ান মিডফিল্ডার বিবিয়ানো ফার্নান্ডেসের কোচিংয়ে রবিবার ভারতের জুনিয়র ছেলেদের টিম অনূর্ধ্ব ১৬ এএফসি কাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নিল। উজবেকিস্তানের মাঠে উজবেকিস্তানের সঙ্গে ১-১ করে ভারত এই যোগ্যতা পেল গ্রুপ ‘বি’তে সেরা হয়ে। গ্রুপের প্রথম দুই ম্যাচে বাহরিন ও তুর্কমেনিস্তানকে পাঁচ গোল করে হারানোয় ভারত গোলের গড়ে পিছনে ফেলে দিল উজবেকিস্তানকে। পরের বছর বাহরিনে হবে মূলপর্বের খেলা। যার প্রথম চারে থাকলেই মিলবে অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা।
টানা তৃতীয় বারের জন্য অনূর্ধ্ব-১৬ এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের ছাড়পত্র আদায় করে নিল ভারত৷ যোগ্যতা অর্জন পর্বে গ্রুপ-বি থেকে এক নম্বর দল হিসাবে মূলপর্বে খেলা ছাড়পত্র আদায় করে নিল ভারতীয় দল৷ শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে জয় হাতছাড়া হলেও ভারতীয় শিবিরের কোনও হতাশা নেই। ম্যাচের পরে ড্রেসিংরুমে ওড়িশি নাচল ফুটবলারেরা। টিম হোটেলে ফিরেও চলল উৎসব। সেখানেও আকর্ষণের কেন্দ্রে শ্রীদার্থ।
রবিবার তাসখন্দে উজ়বেকিস্তানের বিরুদ্ধে অনূর্ধ্ব-১৬ এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের শেষ ম্যাচে সেই স্রিদার্থ নংমেইকাপাম-ই ৬৮ মিনিটে গোল করে এগিয়ে দেয় ভারতকে। যদিও ম্যাচ শেষ হওয়ার আট মিনিট আগে সমতা ফেরায় উজ়বেকিস্তানের রিয়ান ইসলামভ। তাতে অবশ্য আগামী বছর বাহরিনে অনূর্ধ্ব-১৬ এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে যোগ্যতা অর্জন আটকায়নি ভারতীয় দলের।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে নূন্যতম ড্র করা প্রয়োজন ছিল ভারতের৷ ম্যাচের ৬৮ মিনিটে শ্রীদার্থ নংমেইকাপামের গোলে ১-০ এগিয়ে যায় ভারত৷ ৮১ মিনিটে ম্যাচে ১-১ গোলে সমতা ফেরান উজবেকিস্তানের রায়ান ইসলামোভ৷ শ্রীদার্থ এর আগে তুর্কমেনিস্তান ও বাহরিনের বিরুদ্ধে ২টি করে গোল করেছিলেন৷ অর্থাৎ, তিন ম্যাচে মোট ৫টি গোল করেন তিনি৷
গত বছর মূলপর্বে কোরিয়ার কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে না হারলে এ বার ভারত অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপে খেলত। এ দিন আরও একবার এএফসির মূলপর্বে উঠে বিবিয়ানোর গলায় আগের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করার কথা। ‘আমাদের আসল লড়াই শুরু এ বারই। গত বছর কোরিয়ার বিরুদ্ধে দারুণ লড়াই করে হেরে গিয়েছিলাম। এ বার কিন্তু আর আমরা হারতে চাই না। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করাই আমার টিমের একমাত্র লক্ষ্য।’ এ দিন উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে ৬৮ মিনিটে এগিয়ে দেন শ্রীধার্থ। ৮১ মিনিটে সেই গোল শোধ হয়ে যায়। তবে ম্যাচে ভারতেরই প্রাধান্য ছিল। এই টিমে দাপিয়ে খেলেন দুই বঙ্গসন্তান ডিফেন্ডার অনীশ মজুমদার ও ফরোয়ার্ড শুভ পাল।