বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে মোদী সরকারের বাজেটে যেমন তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি, তেমন চাহিদার মানোন্নয়নেও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারেনি কেন্দ্র। আর এই দুই কারণেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে ভারতের শিল্প সংস্থাগুলোকে। গাড়ি শিল্প থেকে বিস্কুট- সর্বত্রই বাজারে চাহিদা বাড়ন্ত। বিক্রি না হওয়ায় বন্ধ করতে হচ্ছে উৎপাদন। যার ফলে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি নেমে গেছে ৫ শতাংশে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেশের অর্থনীতির বিগড়োনো ইঞ্জিন মেরামতির জনু কর্পোরেট কর হ্রাসের কথা ঘোষণা করলেও আর্থিক ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রায় পূনর্বিবেচনায় নারাজ কেন্দ্রীয় সরকার। রবিবার এ কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এমনকী খরচ কমানোর কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দিল্লীতে নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সীতারমন জানিয়েছেন, আপাতত আর্থিক ঘাটতির টার্গেটের পর্যালোচনা করবে না সরকার। একইভাবে খরচ কমানোর বিষয়টিও সরকার ভাবছে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, দেশের আর্থিক বৃদ্ধি গত ছ’বছরের মধ্যে তলানিতে এসে ঠেকেছে। চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় কমছে শিল্প উৎপাদন। যার জেরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরি হারাচ্ছেন বহু মানুষ। একইভাবে বেসরকারি লগ্নীও তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য গত শুক্রবার কর ছাড়ের কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এই সিদ্ধান্তের ফলে চলতি আর্থিক বছরে কেন্দ্রের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ অন্তত ১.৪৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার হ্রাস পাবে। দৈনন্দিন খরচ সামাল দিতে বাজার থেকে আরও বেশি টাকা ঋণ করতে হবে সরকারকে।