যুবসমাজ যত বেশি করে রাজনীতিতে আসবে, দেশ তত উন্নতি করবে। এই প্রবাদ সর্বজনবিদিত। গোটা দেশ জুড়েই এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষজন রাজনীতিতে যোগদান করছেন। খেলার জগতও পিছিয়ে নেই। সচিন টেন্ডুলকার যেমন রাজ্যসভার সদস্য। এরকমই এবার রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন ভারতের দ্রুততমা মহিলা দ্যুতি চন্দ। তবে এই মুহূর্তেই রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশ করতে চাইছেন না তিনি। অ্যাথলেটিক্স কেরিয়ার শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন তিনি, এমনটাই জানা গেছে।
১০০ মিটারে জাতীয় রেকর্ডের অধিকারী দ্যুতি এদিন টুইট করেছেন, ‘ছোট থেকেই রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা ছিল। আমার পরিবারও তৃণমূল স্তরের রাজনীতিতে যুক্ত। আমাদের গ্রামের সরপঞ্চ (পঞ্চায়েত প্রধান) হলেন আমার মা।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘প্রশাসক হিসেবে যদি সাধারণ মানুষকে সাহায্য করার কোনও সুযোগ পাই, তবে অবশ্যই আমি তা করব। তবে এখনই না। অ্যাথলিট হিসেবে আমার কেরিয়ার শেষ করার পরই তা সম্ভব।’
আগস্টে ইন্ডিয়ান গ্রাঁ প্রি ফাইভ প্রতিযোগিতার ১০০ মিটারে সোনা জিতেছিলেন ২৩ বছর বয়সি দ্যুতি। এই মুহূর্তে দোহায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে মহিলাদের ১০০ মিটার দৌড়ে মনঃসংযোগ করছেন তিনি। তার জন্য রাতেও অনুশীলন করছেন তিনি। তবে দ্যুতির ‘খ্যাতি’ অন্য এক বিতর্ককে কেন্দ্র করেও। সমলিঙ্গে বিবাহের অধিকার নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। বান্ধবীকে বিবাহ করতে চাইছেন। ভারতে এখনও পর্যন্ত সমলিঙ্গে বিবাহ আইনসিদ্ধ নয়। এর আগে কোনও ভারতীয় অ্যাথলিট সমলিঙ্গে সম্পর্ক রাখার কথা বলেননি। এই দিক থেকেও দ্যুতি নিজের সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।