পুজোর মরসুমে এইবার টান পড়তে চলেছে মানুষের খাদ্য তালিকায়। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে চলেছে পেঁয়াজের দাম। খাদ্য তালিকায় প্রথম সারিতেই থাকে পেঁয়াজ। তার দাম আকাশছোঁয়ার অপেক্ষায়। আর তাতেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে দেশবাসীর কপালে। এশিয়ায় পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার মহারাষ্ট্রের লাসালগাঁও মান্ডিতে শুক্রবার পেঁয়াজ বিকিয়েছে ৫১ টাকা কেজিতে। গত চার বছরে এটাই পেঁয়াজের সর্বোচ্চ পাইকারি দাম। একদিনে দাম বৃদ্ধি ৪০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার দিল্লীর আজাদপুর মান্ডিতে পেঁয়াজের দাম ছিল ৪০ টাকা কেজি। শুক্রবার এক লাফে তা বেড়ে হয় ৫০ টাকা। একদিনে দামবৃদ্ধি ১০ টাকা। খুচরো বাজারে সেই দাম পৌঁছে যাচ্ছে ৭৫ টাকা পর্যন্ত। অথচ জুন মাসেই দিল্লীতে পেঁয়াজের দাম ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। লাসালগাঁওয়ে দাম ছিল ১৫ টাকা। অর্থাৎ তিন মাসে পেঁয়াজের দাম দিল্লীতে বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা। লাসালগাঁওয়ের বাজারে বেড়েছে কেজিতে ৩৬ টাকা।
এই তথ্য জানিয়েছে এগ্রিকালচারাল প্রোডিউস মার্কেটিং কমিটি। মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক–সহ দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে অতি বৃষ্টির কারণে ফলনের ক্ষতি হওয়ায় কমেছে পেঁয়াজের সরবরাহ। সেকারণেই দাম বাড়ছে বলে মনে করছে কেন্দ্র। গত জুন মাস থেকেই দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। তখনই পেঁয়াজের ক্ষেত্রে রপ্তানির দরুন ইনসেনটিভ প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্র। তবে, এসব পদক্ষেপ সত্ত্বেও দাম বাড়ছে। তাঁর আঁচ গিয়ে লাগছে ক্রেতাদের গায়ে। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন সংস্থা মারফত খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রির ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র। তাতেও অবশ্য দাম কমার লক্ষণ নেই। কারণ সরবরাহে ঘাটতি চলছেই। এবছর বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির জেরে পেঁয়াজের সরবরাহে ঘাটতি কতটা দাঁড়াবে, সেনিয়ে উদ্বিগ্ন দেশবাসী। পুজোর মুখে বাজারে আগুন ছড়াচ্ছে। যা মানুষের চওড়া হাসি সংকুচিত করছে।