শনিবার ভারতীয় সময় সন্ধে সাড়ে সাতটায় রাশিয়ার বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে ৫২ কেজি বিভাগের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারতের অমিত পাঙ্ঘাল। বিপক্ষে রিয়ো অলিম্পিক্সের সোনাজয়ী উজবেকিস্তানের বক্সার শাখোবিদিন জইরভ। এর আগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ভারতকে। ২০০৯ সালে বিজেন্দ্র সিংহ, ২০১১ সালে বিকাশ কৃষাণ, তার পরে ২০১৫ সালে শিবা থাপা আর দু’বছর আগে গৌরব বিধুরি।
এর আগে প্রত্যেকেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ব্রোঞ্জ নিয়ে দেশে ফিরেছে। তাই শনিবার অমিতের লড়াইটা ছিল ভারতের বক্সিংয়ের ইতিহাসেই একটি বিরল দিন। ফাইনালে উঠেই ও নিশ্চিত করে দিয়েছিল, এই প্রথম অন্তত রুপো জিতে ইতিহাস সৃষ্টি হবে। কিন্তু অপেক্ষা ছিল ফাইনালটাও জিতে সোনালি দিন উপহার দিতে পারে কি না। শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। ০-৫ হেরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল অমিতকে।
বাঁ হাতি বক্সার অমিতের রক্ষণ বেশ ভাল। হাতে রয়েছে দুর্দান্ত ‘হুক’ও। প্রতিপক্ষের ডান ও বাঁ দিকে ওর সেই হুকগুলো আছড়ে পড়ে। এমনকি আক্রমণে গিয়ে একটু সামনের দিকে ঝুঁকে জোরালো ঘুসিও মারতে পারে বিপক্ষের মুখে। এ ছাড়াও বিপক্ষকে প্ররোচিত করে নিজে আক্রমণে এগিয়ে গিয়ে। এর পরে যখনই বিপক্ষ আক্রমণে আসে তখন ও একটু পিছিয়ে গিয়ে নাগাড়ে প্রতি-আক্রমণ করে যায়।
প্রশ্ন উঠবে তাও সোনা জয় কেন হল না? মনে করা হচ্ছে, প্রত্যাশার চাপ ও আবেগেই হয়তো নিজের সেরাটা আজ তুলে ধরতে পারেনি অমিত। এরকম ঐতিহাসিক দিনে রিংয়ে নামার আগে একজন বক্সারের উপর প্রত্যাশার চাপ অনেকটা থাকে। হয়তো এই চাপটাই অমিতকে সোনার ইতিহাস গড়তে দিল না।