এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকায় বেশ কিছু ভুল এবং সমস্যা আছে বলে স্বীকার করে নিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব। তিনি বলেন, ‘এনআরসি-তে ছোটখাটো সমস্যা আছে। এটা স্বাভাবিক। এগুলো আস্তে আস্তে শুধরে নেওয়া হবে’।
এনআরসি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরে বিজেপির নেতা-নেত্রীরাই এর বিরোধিতা শুরু করেন। আসামের উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা প্রকাশ্যে বলেছিলেন, এমন তালিকা দেখে আমি হতাশ। চূড়ান্ত তালিকার বিরোধিতায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, হিন্দু সংহতি, বজরং দলের মতো গেরুয়া সংগঠনগুলি ইতিমধ্যেই পথে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এই নিয়ে দফায় দফায় আসাম বনধও ডেকেছে তারা।
এরপরেই আসরে নামলেন বিজেপি নেতা রাম মাধব। তিনি বলেন, ‘৯৫১ সালে সারা দেশে এনআরসি হয়েছে শুধুমাত্র আসামকে বাদ দিয়ে। তৎকালীন সরকারের ভুলে প্রক্রিয়াটি এই রাজ্যে ৭০ বছর পিছিয়ে যায়, তাই এটি বাস্তবায়নে ছোটখাটো সমস্যা থাকা খুব স্বাভাবিক। তবে আমি কথা দিচ্ছি, এগুলো আস্তে আস্তে শুধরে নেওয়া হবে। সত্যিকারের ভারতীয় এবং নির্যাতিত অমুসলমান শরণার্থীরা ভারতীয় নাগরিকত্ব থেকে কোনওভাবেই বঞ্চিত হবেন না। যারা ধর্মীয় এবং সামাজিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৫ সাল পর্যন্ত্য ভারতে এসেছেন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবেই’।
উল্লেখ্য, চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা থেকে ১৯ লক্ষ আসামবাসীর নাম বাদ পড়েছে। তার মধ্যে ১২ লক্ষ হিন্দু বাঙালি।