বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় একতরফা ভাবে নিগ্রহের শিকার হয়েছেন? ক্যামেরায় ধরা পড়া ছবি কিন্তু সে কথা বলছে না। বাবুলও যে মেজাজ হারিয়েছেন ফ্রেমবন্দী হয়েছে সে ছবি। কনুই উঁচিয়ে এক ছাত্রীকে আঘাত করতেও দেখা গেছে আসানসোলের এই সাংসদকে। তবে এখানেই শেষ তাই নয়। ছাত্রীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির সময়েও তাঁদের উদ্দেশ্য কিছু বিরূপ মন্তব্য করেন বাবুল।
প্রকাশ্যে এসেছে ওদিন কথা কাটাকাটির সময়ে বাংলা এমএ প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী ও বাবুলের একটি ছবিও। যেখানে দেখা গেছে, ওই ছাত্রীর গায়ে হাত তুলেছেন তিনি। শুক্রবার যাদবপুরের ক্যাম্পাসে মিছিলে শামিল হওয়ার আগে সেই ছাত্রী বলেন, ‘নোংরা কথা বলে অত সহজে আমাদের দমাতে পারবে না। ওই সব কুৎসিত কথার প্রচারই বলে দিচ্ছে, মেয়েদের ওঁরা কী চোখে দেখেন।’
বৃহস্পতিবার বাবুলের ক্যাম্পাসে উপস্থিতি, পড়ুয়া বিক্ষোভ, এবং ক্যাম্পাসে ভাঙচুর ইত্যাদির ঘটনাক্রমের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিশানা করে অভব্যতার অভিযোগও ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। কারণ ইতিমধ্যেই দু’জন ছাত্রী (তাঁদের মধ্যে এক জন যাদবপুরের নন) এইট বি মোড়ে হামলার মুখে পড়েন বলে যাদবপুর থানায় অভিযোগ জানান। ‘তোরা মন্ত্রীকে আটকে রেখেছিস’ বলে তাঁদের কান ধরে ক্ষমা চাইতে বলা হয় এবং ভিডিও তোলা হয় বলে অভিযোগ।
যাদবপুর এলাকায় অফিস থেকে ফেরার সময়ে আর এক তরুণীকেও ‘দুর্বৃত্তে’রা চুলের মুঠি ধরে নিগ্রহ করেন বলে তিনি ফেসবুকে সরব হয়েছেন। পরে থানার সিভিক ভলান্টিয়াররা এসে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান বলে তিনি জানিয়েছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিদ্যার দ্বিতীয় বর্ষের এক পড়ুয়ার নিগ্রহের খবরও মিলেছে।
শুক্রবার দুপুরে সেই ছাত্রী বলছিলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এইট বি মোড়ের এটিএমে টাকা তোলার পরে মহিলা ও পুরুষের একটি দল মিলে ঘিরে ধরে আমাদের ফোন কেড়ে হেনস্থা করে। ক্ষমা চাইতে বলে। জয় শ্রীরাম স্লোগান দিচ্ছিল। ভয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ি। তার পরে এক বন্ধুর বাড়িতে যাই। রাতে বন্ধুর বাবা বাড়ি পৌঁছে দেন। ওরা যে হেতু আমাদের ছবি তুলে ভিডিও করেছে, তাই নিরাপত্তার কথা ভেবেই যাদবপুর থানার পুলিশকে সব অভিযোগ লিখে জানিয়েছি। পুলিশ সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে।”