৩৭০ ধারা রদের দিন অর্থাৎ ৫ আগস্ট থেকেই বন্ধ জম্মু-কাশ্মীরের ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা। এভাবেই চলেছে টানা ৪৭ দিন। অথচ পরিষেবা না দিলেও মাসিক বিল কিন্তু গ্রাহকদের পাঠিয়ে দিল টেলিকম সংস্থাগুলো। এমনটাই অভিযোগ করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দারা।
পরিষেবা না পেয়েও বিল দিতে হবে জেনে ক্ষুব্ধ সাফাকাদালের বাসিন্দা ওবেইদ নবি বলেন, ‘আগস্টের ৫ তারিখ থেকে ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। তা সত্ত্বেও এয়ারটেল থেকে আমাকে ৭৭৯ টাকার বিল পাঠানো হয়েছে। বুঝতে পারছি না যখন কিছুই ব্যবহার করিনি, তখন কেন এই বিল পাঠানো হল।’ আরেক বাসিন্দা মহম্মদ উমর জানান, প্রতিমাসে তাঁর যে টাকার বিল আসত, এবার তারও বেশি টাকার বিল এসেছে। অথচ ফোন বা ইন্টারনেট কোনও পরিষেবাই তিনি ব্যবহার করতে পারেননি। তাঁর কথায়, ‘প্রতিমাসে আমার ৩৮০ টাকার বিল আসে। অথচ শেষ মাসে আমার নামে ৪৭০ টাকার বিল এসেছে। অথচ আশ্চর্যের বিষয় গত দেড় মাস ধরে ফোন বা ইন্টারনেট কোনও পরিষেবাই চালু ছিল না।’
এদিকে, এই প্রসঙ্গে এখনও কোনও প্রত্যুত্তর পাওয়া যায়নি টেলিকম সংস্থাগুলোর কাছ থেকে। আর সরকারি টেলিকম সংস্থা বিএসএনএলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কেবলমাত্র ৩০০০টি ক্ষেত্রেই তাঁদের সংস্থা বিল পাঠিয়েছে। বাকিদের ক্ষেত্রে তা পাঠানো হয়নি।
শুধু টেলিকম সংস্থাই নয়, স্কুলগুলোর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছে। গত দেড় মাস ধরে বন্ধ ছিল উপত্যকার বেশিরভাগ স্কুলই। তবুও স্কুল কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের মা–বাবাদের ডেকে পাঠিয়ে আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবরের স্কুলের মাইনে এবং স্কুলবাসের টাকা মিটিয়ে দিতে বলেছেন। কিন্তু যেখানে স্কুল বন্ধ, পড়ুয়ারা যায়নি, সেখানে স্কুলের মাইনে বা স্কুলবাসের টাকা কেন দিতে হবে পড়ুয়াদের? প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ।