ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান তিনি। দল যখনই বিপদের পড়েছে তখনই দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন টিমের পাশে। দেশের হয়ে টেস্ট ও ওয়ানডে দুই ফরম্যাটেই দশ হাজারের বেশি রানের মালিক তিনি। সেই রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে তুলনা টানা হল রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে। তুলনাটা করা হল খোদ বিসিসিআইয়ের ওয়েবসাইটে। আর তারপর থেকেই নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনরা অন্তত বলছেন একেবারেই নয়। এমনকী, রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে শাস্ত্রীর তুলনা করে রীতিমতো নেটিজেনদের রোষের মুখেও পড়তে হয়েছে বিসিসিআইকে।
তৃতীয় টি-২০-র আগে শুক্রবার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করছিলেন টিম ইন্ডিয়ার তারকারা। তাঁদের অনুশীলনের সময় হঠাৎই হাজির হন রাহুল দ্রাবিড়। টিম ইন্ডিয়ার তারকাদের সঙ্গে কথা বলেন বেশ কিছুক্ষণ। আসলে, এই দলের একাধিক তারকা তাঁর হাত ধরেই খ্যাতি অর্জন করেছেন। দ্রাবিড় যখন জুনিয়র দল এবং ভারতের বি দলের কোচ ছিলেন, তখন পন্থ, আয়াররা তাঁর অধীনেই খেলতেন। ক্রিকেটারদের পাশাপাশি কোচ শাস্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন দ্রাবিড়। এরপরই বিসিসিআইয়ের তরফে শাস্ত্রী এবং রাহুলের একটি ছবি শেয়ার করা হয়। তাতে লেখা হয়, “যখন দু’জন বিখ্যাত মানুষের দেখা হয়।”
বোর্ডের সরকারি টুইটার হ্যান্ডল থেকে টুইটটি করা হয়। যা নিয়ে নেটিজেনরা তীব্র কটাক্ষ শানিয়েছেন বিসিসিআইকে। নেটদুনিয়ার কুশীলবদের আপত্তির জায়গা ওই বিখ্যাত শব্দটিকে। তাঁদের ধারনা, এই ক্যাপশনের মাধ্যমে রাহুল দ্রাবিড়কে শাস্ত্রীর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। যা দ্রাবিড়ের পক্ষে অপমানজনক। অনেকে বলছেন, এদের মধ্যে একজনই বিখ্যাত তিনি রাহুল দ্রাবিড়। আরেকজন আবার কটাক্ষ করে লিখছেন, “বিসিসিআই আবার কবে থেকে রাহুল এবং দ্রাবিড়কে আলাদা আলাদা ব্যক্তি হিসেবে গোনা শুরু করল।” প্রসঙ্গত, এর আগে শাস্ত্রীকে আবার ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি দেশের এক বড় অংশ। তাঁদের যুক্তি ছিল, কোচের তালিকায় শাস্ত্রীর থেকেও অনেক বড় মাপের যোগ্য ব্যক্তি ছিলেন। তাঁদের সুযোগ পাওয়া উচিৎ ছিল।