বাঙালির কাছে পাহাড় ইমোশন। আর এই কর্মব্যস্ততার সময়ে কিছুদিনের জন্য হাফ ছেড়ে একমাত্র ভালো থাকা যায় পাহাড়ের কাছে গিয়েই। পাহাড়ি পাকদন্ডী পেরিয়ে, কুয়াশা মাখা পাহাড়ের কাছে গিয়ে কয়েকটা দিন নিশ্চুপে বসে থাকা যায়। রাত বাড়লেই পাহাড়ের গায়ে নেমে আসে তারাদের দল। এখানে যেন স্নিগ্ধতা বিরাজ করে।
প্রায় ১৫০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত দক্ষিণ সিকিমের সদর শহর নামচি। চারিধারে সবুজ পাহাড় আর তারই মাঝখানে কুয়াশাঘেরা নামচি। নামচির প্রধান আকর্ষণ শহর থেকে ১০ কিমি দূরে সেলকাফেতে ১০৮ ফুট উচ্চ শিব মূর্তি সহ রেপ্লিকারুপি চারধাম। নামচি থেকে ৬ কিমি দূরে সামদ্রুপসেও পর্যটক আকর্ষণে অনন্য। এখানেই রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম গুরু পদ্মসম্ভবের মূর্তি।
এছাড়াও এখানে আশে পাশে দেখে নিতে পারেন, রক গার্ডেন, হ্যান্ডিক্রাফট সেন্টার, নেপালি ও ভুটিয়াদের প্রাচীন বৌদ্ধ গুম্ফা এবং অবশ্যই টেমি টী গার্ডেন। নামচি থেকে রাতের দার্জিলিং আসাধারন লাগে। একদা পর্যটন মানচিত্রে ব্রাত্য হলেও কয়েকবছর হল নামচিতে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে পর্যটকদের সংখ্যা। যারা ট্রেক করতে ভালোবাসেন তারা শহর থেকে ১৪ কিমি দূরে ডামথাংয়ে পৌঁছে ৯ কিমি ট্রেক করে পৌঁছে যেতে পারেন মৃত আগ্নেয়গিরি টেনডংয়ের শীর্ষে।
কিভাবে যাবেন :
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে নামচির দুরত্ব ১০৮ কিমি। গাড়ি ভাড়া করে এ পথে সময় লাগে চার ঘণ্টার মত। আবার শিলিগুড়ি এস এন টি বাসস্ট্যান্ড থেকে নামচির দুরত্ব ৭৮ কিমি। গাড়িতে সময় লাগে তিন ঘণ্টার মত।