বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে মোদী সরকারের বাজেটে যেমন তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি, তেমন চাহিদার মানোন্নয়নেও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারেনি কেন্দ্র। আর এই দুই কারণেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে ভারতের শিল্প সংস্থাগুলোকে। গাড়ি শিল্প থেকে বিস্কুট- সর্বত্রই বাজারে চাহিদা বাড়ন্ত। বিক্রি না হওয়ায় বন্ধ করতে হচ্ছে উৎপাদন। যার ফলে বিগত কয়েক দিন ধরেই মুখ খুলছেন দেশের একের পর এক শিল্পপতি।
গাড়ি শিল্পের বেহাল দশা নিয়ে কিছু দিন আগে তার প্রতিনিধির প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। ক্যাফে কফি ডে-র কর্ণধারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরে কেন্দ্রের কাছে কর-সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল শিল্পের একাংশ। এবার বেহাল অর্থনীতি নিয়ে টুইটারে শিল্প কর্ণধারের প্রশ্নের মুখে খোদ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে শিল্পের?
জল্পনা জোরালো হয়েছে নির্মলার উত্তরে। অনেকের প্রশ্ন, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে যে সব রকম চেষ্টা কেন্দ্র করছে, শিল্পের প্রশ্নের মুখে তার উত্তর দেওয়ার এমন দায়বদ্ধতা আগে এই সরকার দেখিয়েছে কি? নাকি এখন অর্থমন্ত্রীকে টুইটেও জবাব দিতে হচ্ছে অবস্থা বেগতিক আঁচ করে? উল্লেখ্য, বুধবারই ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেন নির্মলা।
তার পরেই বায়োকন কর্ণধার কিরণ মজুমদার শ’-এর টুইট ছিল, এ কথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে শোনা যাওয়ার কথা নয় কি? ইঙ্গিত, অর্থমন্ত্রীর মুখ থেকে বরং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার দাওয়াই শুনলে খুশি হত শিল্প। অস্বস্তি এড়াতে নির্মলার জবাব, ‘…নিশ্চয় দেখেছেন অর্থমন্ত্রী হিসেবে অর্থনীতির নানা বিষয়ে কাজ করছি ও কথা বলছি।’ নোটবন্দীর পরেও তাদের তরফে সমালোচনা হয়েছে কমই। তাই সম্প্রতি যেভাবে শিল্প প্রশ্ন তুলছে, তাতে ধৈর্যচ্যুতির লক্ষণ স্পষ্ট।