অগণতান্ত্রিক ভাবে জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করেছে মোদী সরকার। তারপর থেকেই উত্তপ্ত ভূস্বর্গ। উপত্যকার সরকারি হাসপাতালে প্রায় ১৫০ আহত কাশ্মীরির চিকিৎসা চলেছে। যদিও ৩৭০ ধারা রদের পর কেন্দ্রের তরফে বারংবার দাবি করা হয়েছে একেবারে শান্ত স্বাভাবিক আছে কাশ্মীর। কিন্তু বাস্তবের চিত্রটা সম্পূর্ণ অন্য। থমথমে কাশ্মীরে এবারে পালিত হয়নি মহরম। এই পরিস্থিতির জেরে পুরোপুরি গৃহবন্দী হয়ে রয়েছে ভূস্বর্গের শৈশব। এই প্রসঙ্গে সাতদিনের মধ্যেই রিপোর্ট চাইল শীর্ষ আদালত।
জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসন সম্পর্কে একগুচ্ছ মামলা জমা পড়েছে সুপ্রিমকোর্টে৷ এছাড়া নেতা-নেত্রীদের বিনা বিচারে দিনের পর দিন আটক এর বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা শীর্ষ আদালতে জমা পড়েছে৷ শিশু অধিকার রক্ষাকর্মী এনাক্ষী গঙ্গোপাধ্যায় ও শান্তা সিনহা কাশ্মীরের শিশুরা অবরুদ্ধ আছে- এই মর্মে মামলার শুনানি হয়েছে শুক্রবার সুপ্রিমকোর্টে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এর ডিভিশনাল বেঞ্চে৷ এই বেঞ্চে ছিলেন বিচারক এসএ বোরদে ও এস এ নজির৷
আইনজীবি হুজেফা অভিযোগ করেন জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ বিচারের জন্য হাইকোর্ট পর্যন্ত যেতে পারছেন না৷ তাঁর অভিযোগের তির স্পষ্টতই প্রশাসনের দিকে৷ তিনি সাফ জানান, প্রশাসন মানুষকে বিচার চাইতে বাধা দিচ্ছে৷ তাঁর এই অভিযোগকে একেবারে উড়িয়ে না দিলেও বিচারপতি গগৈ জানান জম্মু কাশ্মীর হাইকোর্ট এর পাঠানো রিপোর্টের সঙ্গে তাঁর অভিযোগ মিলছে না৷ তিনি জানান, উপত্যকার হাইকোর্ট একেবারে উল্টো দাবি করেছে৷ সেই সঙ্গে তিনি বিষয়টি নিয়ে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের পক্ষের আইনজীবি সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে এই নিয়ে আদালতকে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন৷