শেয়ার বাজারে ফের জোর ধাক্কা। সেনসেক্স এক ধাক্কায় ৪৭০ পয়েন্ট কমে বৃহস্পতিবার দিনের শেষে ৩৬,০৯৩ পয়েন্টে এসে দাঁড়ায়। যা ১ মার্চের পর সর্বনিম্ন। পাশাপাশি, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ বা নিফটি সূচকেও ব্যাপক পতন হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক সময় ৫৭৬ পয়েন্ট পড়ে ৩৬ হাজারের নিচে নেমে আসে সেনসেক্স। নিফটিরও ১৭০ পয়েন্ট পড়ে ১০,৭০০-র বেঞ্চমার্ক ভেঙে যায়, যা গত ৭ মাসে সর্বনিম্ন।
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে নথিভুক্ত ১১টি সেক্টরের সবক’টিতেই দর পড়েছে। বিশেষত, মিডিয়া সেক্টরে দর পড়ে যায় প্রায় চার শতাংশ। ধাতু, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, গাড়ি, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ক, সব ক্ষেত্রেই ব্যাপক পতন হয়। এ দিন বাজারের পতনের কারণ হিসাবে এশিয়ার স্টক এক্সচেঞ্জকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ঋণের উপর ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। যার জেরে স্টক এক্সচেঞ্জগুলির সূচক হুড়মুড়িয়ে পড়তে থাকে। আরও সুদ কমানোর ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ।
সব মিলিয়ে ভারতের বাজারের উপর দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা যে এখনও ফেরেনি, সেটাই আরও স্পষ্ট হয়ে গেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। শেয়ার বাজারে চলা ডামাডোলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, আইসিআইসিআই ও ইয়েস ব্যাংক। এছাড়াও ধাক্কা খেছে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা টিসিএস, টেক মহিন্দ্রা ও এইচসিএল-য়ের শেয়ারও। মোতিলাল ওসওয়াল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস-এর শীর্ষ কর্তা বলেন, মধ্যেপ্রাচ্যে চলা চাপানউতোরের প্রভাব পড়বে ভারতীয় শেয়ার বাজারে। এদিকে, ফের দাম বাড়ল পেট্রল ও ডিজেলের। গোটা বিশ্বেই এখন তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তার প্রভাব পেড়েছে এদেশের বাজারেও।