কখনও শহরের রাস্তায় ডাউন বনগাঁ লোকাল নামানো বা সাবমেরিনে চড়ার সুযোগ করে দেওয়া। কখনও আবার টাইম মেশিনে চাপিয়ে দর্শনার্থীদের ২০০ বছর সামনে ও পিছনে নিয়ে যাওয়া- বিগত কয়েক বছর ধরেই নিত্যনতুন থিমে শহরবাসীকে চমকে দিচ্ছে বাগবাজারের জগৎ মুখার্জি পার্কের পুজো। এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না৷ এ বছর জগৎ মুখার্জি পার্কে গেলেই দেখা হয়ে যাবে বারাণসীর দশাশ্বমেধ ঘাট! হ্যাঁ। কাশীর গলি, তস্য গলি, হরেক রকমের মন্দির, রাবড়ি, লস্যি, মালাই- এই সবই এবার উঠে আসবে ৮৩ বছরের এ পুজোয়।
জগৎ মুখার্জি পার্ক দুর্গোৎসব কমিটির তরফে যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ সৌরভ চট্টোপাধ্যায় এখন খবরকে বলেন, ‘আমাদের পুজো এ বছর ৮৩ তম বর্ষে পদার্পণ করছে। কাশীর দশাশ্বমেধ ঘাটকে আমরা আমাদের এবারের থিম হিসেবে বেছে নিয়েছি। অনেকেই হয়ত বারাণসী গিয়েছেন৷ কিন্তু যাঁদের এখনও সেখানে যাওয়ার সুযোগ হয়নি, মূলত তাঁদের জন্যই আমরা আমাদের মন্ডপসজ্জার মাধ্যমে দশাশ্বমেধ ঘাট দর্শনের সুযোগ করে দিচ্ছি। এবং তা দেখার পর কেউ যদি বাস্তবে দশাশ্বমেধ ঘাট নাও যেতে পারেন, তাহলেও তাঁর কোনও আফসোস থাকবে না। কারণ আমাদের মন্ডপ দেখলে যে কারও মনে হবে এ যেন হুবহু দশাশ্বমেধ ঘাটই। কারণ প্রতিদিন সন্ধ্যায় দশাশ্বমেধ ঘাটে যে জগৎ বিখ্যাত গঙ্গারতি হয়, পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত এখানেও ঠিক তাই হবে।’
এছাড়াও আরও অনেক নতুন নতুন চমক থাকছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ বছর জগৎ মুখার্জি পার্কের এই সমগ্র পরিকল্পনা ও তার রূপদানের দায়িত্বে রয়েছেন শিল্পী সুপ্রতীম কর্মকার। জুলাই মাস থেকেই দলবল নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। তাঁর ভাবনায় বারাণসীর অন্যতম দর্শনীয় এই ঘাটের পরিবেশই উঠে আসবে পুজো মণ্ডপে। এছাড়া
প্রতিমা গড়ছেন নবকুমার পাল ও দেবীর শাড়ি দিচ্ছেন কেয়া শেঠ। অতীতে সাবমেরিন, বনগাঁ লোকাল কিংবা টাইম মেশিনে চাপতে যেমন উপচে পড়েছিল মানুষের ভিড়, এবার দশাশ্বমেধ ঘাট দর্শন ও ঐতিহ্যবাহী গঙ্গারতি উপলব্ধি করতেও যে তেমনই জনসমাগম হবে, তা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী পুজোর কর্মকর্তারা।