কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র ক্যাম্পাসে ঢোকা নিয়ে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। গোটা ক্যাম্পাস দাপিয়ে বেড়ায় এবিভিপি। মাথায় হেলমেট পরে, হাতে লাঠি নিয়ে ভাঙচুর চালানো হল ইউনিয়ন রুম থেকে শুরু করে অন্যান্য দফতরেও। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় সাইকেল, কম্পিউটার-সহ একাধিক জিনিসে। ঢুকতে দেওয়া হয় না দমকলের গাড়িও। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী সকলেই।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার সিটিজেনস স্পিক ইন্ডিয়া-র তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, বৃহস্পতিবারের ঘটনায় তাঁরা উদ্বিগ্ন বোধ করছেন। বিশেষ করে ক্যাম্পাসের ভিতরে আগুন লাগানোর ঘটনায় তাঁরা ভীষণই ভয় পেয়ে আছেন। দীর্ঘ একটি বিজ্ঞপ্তির শেষে সই করেছেন আমাদের সুশীল সমাজের নামী ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা। তালিকায় রয়েছেন, অপর্ণা সেন, অনুপম রায়, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, রূপম ইসলাম, সোহাগ সেন, সুদেষ্ণা রায় প্রমুখ। ক্যাম্পাসের শান্তি বজায় রাখার আবেদন করা ছাড়াও এই ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের কাছে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত-সহ দোষীদের যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ওই বিশিষ্টরা।
ওই বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আগমনের সময় কিছু ছাত্রের গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিবাদ জানানোর মতো একটি সাধারণ ঘটনাকে কীভাবে হিংসায় রূপান্তরিত করা হয়েছে সেই কৌশল কেবল আমাদের স্তম্ভিত করেনি, চিন্তিত করেছে’। ঘটনার সময় উপাচার্যের সঙ্গে কথোপকথনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র ভাষা প্রয়োগেরও তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘উপাচার্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আচরণ এবং মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীদের ছাত্রদের প্রতি আচরণও এক অশনি সংকেতের প্রকাশ বলেই মনে করছি। ছাত্রদের সঙ্গে কোনও দাগি আসামির মতো আচরণ কোনও সুস্থ সমাজের কাম্য নয়’।সেই সঙ্গে প্রতিবাদীদের পদক্ষেপ আরও সংযত হওয়া উচিত ছিল বলেও মনে করেন তাঁরা।