গত শনিবার হিন্দী দিবসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘গোটা দেশের জন্য একটা ভাষা থাকা খুব দরকার। সেক্ষেত্রে হিন্দীই পারে সেই ঐক্যের কাজ করতে।’ শাহের এহেন বক্তব্যের পরই দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু দেয়। বুধবার অবশ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিস্থিতি সামাল দিতে বলেন, ‘আমি নিজেই অ-হিন্দীভাষী রাজ্য থেকে এসেছি। মাতৃভাষার উপর হিন্দী চাপানোর কথা বলিনি।’ তবে জোর করে হিন্দি চাপানোর বিরোধিতায় সরব দেশের বিভিন্ন মহলই। এরমধ্যেই আরেকটি প্রস্তাব দিলেন তামিলনাড়ুর এক বিজেপি নেতা।
তামিলনাড়ুর গেরুয়া শিবিরের নেতা পোন রাধাকৃষ্ণণের মতে, ‘আমার মনে হয় তামিল ভাষাকেই জাতীয় ভাষার মর্যাদা দেওয়া উচিত। সামান্য সংশোধনের মাধ্যমে অন্য রাজ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে তামিল ভাষা।’ বিজেপি সভাপতির ‘এক দেশ, এক ভাষা’র তত্ত্বকে সমর্থন জানিয়েই রাধাকৃষ্ণণ বলেন, ‘তামিলকেই জাতীয় ভাষা করা উচিত।’
হিন্দী দিবসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পর শুধু কংগ্রেস, তৃণমূল, বাম, ডিএমকে-র মতো বিরোধীরাই মুখ খোলেনি, অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল তামিলনাড়ুর শরিক দল এআইএডিএমকে-ও। ভিডিও-বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এমএনএম পার্টির নেতা ও অভিনেতা কমল হাসান। হিন্দি চাপানোর চেষ্টা হলে মানা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন সুপারস্টার রজনীকান্তও।