রসাতলে চলে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি আর তা দেখেও দেখেও হাত গুটিয়ে বসে আছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত মাসে এমনই অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের অর্থ তথা শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। গতকালও সিআইআইয়ের সভায় তাঁর দাবি, এ ব্যাপারে বণিকসভাগুলিও নিশ্চুপ।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি কালো মেঘে ঢেকে গিয়েছে। যা বেশ চিন্তার। কমেছে কর আদায়। বৃদ্ধির হার কমে গিয়েছে। দেশে বাড়ছে বেকারত্ব। তাঁর অভিযোগ, নোট বাতিলের ফলে দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্র খতম হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, “জিএসটি চালুর সময়ে বলেছিলাম, এখনও ক্ষেত্র প্রস্তুত নয়। জিএসটিও লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছয়নি। জিএসটিতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার ‘ফ্রড’ হয়েছে। আজ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে”।
গোটা দেশে এমন অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা নতুন পথের দিশা দেখাচ্ছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, রাজ্যের মূলধনী ব্যয় ১১ গুণ বেড়েছে। বৃদ্ধির হারে এ রাজ্য প্রথম স্থানে। পরিকল্পনা খাতে ব্যয়ও প্রায় পাঁচগুণ বেড়েছে। রাজ্যের নানা প্রকল্প, কাজকর্মের কথা উঠে আসে এই আলোচনায়।
এর আগে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে নীতিপঙ্গুত্বের অভিযোগ এনেছিলেন অমিতবাবু। এ দিন তাঁর বক্তব্য, মন্দা না হলেও মন্দার দিকেই এগোচ্ছে ভারত। গোটা দেশে সঞ্চয় ও লগ্নির হার, কর আদায়, বৃদ্ধির হার, রফতানি, কর্মসংস্থান সবই কমছে। তাঁর কথায়, ‘‘গোটা পরিস্থিতি নিয়ে সিআইআই, ফিকি, অ্যাসোচ্যামের পক্ষ থেকে আমি কিছুই বলতে শুনছি না। এ নিয়ে শিল্প মহলকে বলতে হবে।’’ তিনি নিজে এক সময়ে ফিকি-র সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন। তাঁর দাবি, সেই সময়ে মঞ্চ থেকেও কোনও কথা বলতে তাঁরা দ্বিধা বোধ করতেন না।
এদিন আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে আগামী দু’বছরে ৫,৫২২.৫৮ কোটি টাকার ‘প্রপোসড এক্সপ্রেশন অব ইনভেস্টমেন্ট’-এর তালিকা জমা দেওয়া হয়। তাতে ১১ হাজার ৫৮৭ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলে বলা হয়েছে।