আশঙ্কাটাই সত্যি হল৷ চাকিংয়ের দায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শ্রীলঙ্কার তারকা স্পিনার আকিলা ধনঞ্জয়াকে৷ আক্ষরিক অর্থে সরিয়ে দেওয়া না-হলেও আগামী ১ বছরের জন্য ধনঞ্জয়ার বোলিংয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আইসিসি৷ অর্থাৎ আগামী এক বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করতে পারবেন না তিনি৷ শুধু মাত্র ব্যাটিংয়ের দৌলতে জাতীয় দলে ঢোকা সম্ভব নয় ধনঞ্জয়ার পক্ষে৷ যার অর্থ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে কার্যত একবছর নির্বাসনে পাঠানো হল সিংহলি স্পিনারকে৷
২০১৮ সালে ডিসেম্বর মাসে অবৈধ বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে আকিলা ধনঞ্জয়ার। এরপর ২০১৯ সালে কিউইদের বিরুদ্ধে গল টেস্টে আবারও সেই প্রশ্ন উঠে আসে। ২৯ অগাস্ট চেন্নাইয়ে আইসিসি অনুমোদিত ল্যাবে বোলিংয়ের পরীক্ষা দেন তিনি। তাতেও অবৈধ বোলিং অ্যাকশন ধরা পড়েছে। ১২ মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে হবে আকিলা ধনঞ্জয়াকে।
গত ১৪-১৮ আগস্টও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে গল টেস্টে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনে অভিযুক্ত হন ধনঞ্জয়া৷ নিয়ম মতো আম্পায়াররা সন্দেহ প্রকাশ করার ১৪ দিনের মধ্যে বোলিং অ্যাকশনের বৈধতার প্রমাণ দিতে হয় সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকে৷ সেই মতো গত ২৯ অগস্ট চেন্নাইয়ে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন তিনি৷ পরীক্ষায় ধনঞ্জয়ার অ্যাকশন অবৈধ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর বোলিংয়েপ উপর প্রতিবন্ধকতা জারি করা হয়৷
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ক্রিকেটার যদি দু বছরের মধ্যে দুবার ত্রুটিপূর্ণ অ্যাকশনের কারণে নিষিদ্ধ হন, তাহলে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকে এক বছর নির্বাসিত থাকতে হয়। বোলিং অ্যাকশন শুধরে নিলেও এই এক বছরের মধ্যে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি আর বোলিং করতে পারবেন না।