গত বছর দেশজুড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ড। ২০১৭-য় ১৬ বছর বয়সে বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের কাছে চাকরি চাইতে গিয়ে ধর্ষিতা হতে হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাড়ির সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন এক কিশোরী। জানিয়েছিলেন, ২০১৭ সালে চাকরির জন্য সেঙ্গারের বাড়িতে গেলে সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। এরপরই দেশজোড়া সমালোচনার মুখে পড়ে সেঙ্গারকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় সরকার। তবে এর ফলস্বরূপ একাধিক বার বড়সড় হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে ওই নির্যাতিতাকে। এবার এমনটাই বিশেষ আদালতকে জানাল সিবিআই। তারা জানিয়েছে, উন্নাওকাণ্ডে নির্যাতিতাকে ‘বড়মাপের হুমকি’র সম্মুখীন হতে হয়েছিল৷
প্রসঙ্গত, বর্তমানে এইমসে ভর্তি রয়েছে নির্যাতিতা৷ ২৮ শে জুলাই রায়বরেলী যাওয়ার পথে তাদের গাড়িতে ধাক্কা মেরেছিল একটি ট্রাক৷ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় নির্যাতিতার মা ও কাকিমার৷ তাদের মধ্যে একজন এই ধর্ষণ মামলার অন্যতম স্বাক্ষী ছিলেন৷ অভিযোগ, জেলে বসেই নির্যাতিতাকে হত্যার ছক কষেছিল কুলদীপ। এরপরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। এবং ১১ সেপ্টেম্বর এইমসে গিয়েই গাড়ি দুর্ঘটনা নিয়ে নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করেন বিচারক৷ সেখানেই বসে অস্থায়ী আদালত৷ যেখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, উন্নাওয়ের ধর্ষণকাণ্ডে বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার জেলে যাওয়ার পর থেকে বড়সড় মাপের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল নির্যাতিতার পরিবারকে৷ যা সিবিআইয়ের আইনি ভাষায়, স্বাক্ষী নিরাপত্তা স্কিমের ‘এ’ ক্যাটাগরিতে পরে৷ সিবিআইয়ের তরফে আদলতের কাছে ওই তরুণীর পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আবেদন জানানো হয়৷