কেন্দ্রের মোদী সরকার ও রাজ্যের মনোহরলাল খট্টরের সরকারের কাছে প্রত্যাশা থাকলেও তা পূরণ হয়নি। তাই এক সময় বিজেপির মিছিল-পথসভা-জনসভায় গলা ফাটালেও এবার হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধেই প্রার্থী হচ্ছেন কুলদীপ জঙ্ঘু।
প্রসঙ্গত, গুরুগ্রামের গাড়ি কারখানা এলাকায় পরিচিত নাম কুলদীপ জঙ্ঘু। কারণ মারুতি উদ্যোগ কামগার ইউনিয়নের সভাপতি তিনি। মোদী সরকারের আমলে অর্থনীতি তলানিতে, শিল্পে মন্দা। এর প্রভাব পড়েছে গাড়ি নির্মাণ শিল্পেও। কাজ হারিয়েছেন সতীর্থরা। আর, তাই কেন্দ্র-রাজ্যের বিজেপি সরকারের সার্বিক ব্যর্থতা তুলে ধরে বিধানসভা নির্বাচনে গুরুগ্রাম থেকে ‘নির্দল’ প্রার্থী হতে চলেছেন কুলদীপ। তিনি সাফ জানিয়েছেন, গুরুগ্রামে তাঁর মূল লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে। এবং নিজের জয়ের ব্যাপারেও একশো ভাগ নিশ্চিত তিনি। তাঁর আশা, গুরুগ্রামের বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত শ্রমিকদের বড় অংশের সমর্থন তিনি পাবেন।
ভোটে লড়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কুলদীপ বলেন, ‘কেন্দ্রের মোদী সরকার, রাজ্যের মনোহরলাল খট্টরের সরকারের কাছে প্রত্যাশা থাকলেও তা পূরণ হয়নি। সাধারণ মানুষের রুটিরুজি আজ প্রশ্নের মুখে। গুরুগ্রামে গাড়ি নির্মাণ শিল্প ধুঁকছে। কারখানায় কর্মী ছাঁটাই চলছেই। কিন্তু স্থানীয় বিধায়ক গাড়ি নির্মাণ কারখানার কর্মচ্যুত শ্রমিকদের পরিবারের পাশে দাঁড়াননি। এলাকায় বিধায়কের দেখা পাওয়া যায় না। এসবের বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই।’ গাড়ি নির্মাণ শিল্পে মন্দার জন্য মোদী সরকারকেই দায়ী করেছেন এই ইউনিয়ন নেতা। তাঁর কথায়, ‘শুধু মোদী মোদী করে পেট ভরবে না, সাধারণ মানু্ষের কাজ চাই। দক্ষ শ্রমিক থাকলেও, উপযুক্ত কাজ নেই।’
উল্লেখ্য, গুরুগ্রাম বিধানসভা আসনটি বিজেপির দখলে রয়েছে। ২০১৪ সালে বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী উমেশ আগরওয়াল। কিন্তু বিধায়কের ওপর অসন্তুষ্ট দলের একটা অংশ। তাই নতুন মুখ আনার ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা চলছে। ২০১৭ সালে বিধায়কের ভাই ও তার এক সহযোগীকে সোনিপতের একটি প্রতারণা মামলায় আটক করেছিল পুলিশ। তার পরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ করেছিলেন উমেশ। যা নিয়ে জোর বিতর্ক হয়েছিল সে সময়।