হিন্দী, হিন্দু ও হিন্দুস্তান – এই পথেই কি হাঁটতে চাইছে বিজেপি? সম্প্রতি হিন্দীকে রাষ্ট্রীয় ভাষা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করায় এই প্রশ্নটাই এখন ঘুরছে সব মহলে। বেজায় চটেছেন সাধারণ মানুষ। চটেছে উত্তর থেকে দক্ষিণ ভারত। হিন্দী ভাষাকে দেশের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে আগেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন। এবার মুখ খুললেন সুপারস্টার রজনীকান্ত।
এর আগে সরকারের একাধিক পদক্ষেপের প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে রজনী মক্কল মন্দরম সুপ্রিমোকে। কিন্তু বুধবার চেন্নাইয়ে সাংবাদিকদের রজনীকান্ত স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘কোনও ভাষা চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। দক্ষিণ এমনকি উত্তরের রাজ্যগুলি এই পদক্ষেপ মেনে নেবে না।‘
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেছিলেন, এ দেশের প্রত্যেক ভাষার নিজস্বতা রয়েছে। কিন্তু দেশকে বাঁধতে একটি নির্দিষ্ট ভাষার প্রয়োজন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, হিন্দীই পারে এই দেশকে জুড়তে। তাঁর এই মন্তব্যের পরই বিরোধীরা সমালোচনায় মুখর হন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। এমনকি বিজেপি শাসিত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পাও সাফ জানিয়ে দেন, হিন্দীকে তাঁরা কখনওই রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসাবে মেনে নেবেন না।