“লাল মেঘ গুহা পাবে না হয়তো খুঁজে
নিজেরে নিখিলে মিছিলে মেলাও যদি
চলো তার চেয়ে মরা খড়ে ঘাড় গুজে
হব অপরূপ অপরাহ্নের নদী”
যে কবি তাঁর কাব্য-ভূমিকার মাধ্যমে বাংলা কবিতার জন্য এক নতুন জমি বানিয়েছিলেন, তাতে চাষ করেছিলেন একের পর এক ভাবনা, কবিতা… আর সেই উর্বর ভূমির ঔজ্জ্বল্যে বাংলা কবিতা পেয়েছে–ভিন্নমাত্রা। সেই ভিন্নমাত্রার স্বাদ নিতে, গর্জে উঠতে, বার বার নিজেকে নতুন করে ভাবাতে কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কাছে আমাদের ফিরতেই হয়। আমরা ফিরিও।
সেই ‘পদাতিক’ কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে দু’দিনের আলোচনাচক্রের আয়োজন করছে সাহিত্য অ্যাকাডেমি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। আগামিকাল এবং পরশু যথাক্রমে বুধ এবং বৃহস্পতিবার এই আলোচনাচক্রে যোগ দিতে সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসছেন স্বনামধন্য সাহিত্যিকরা।
ইতিমধ্যেই বাংলা অ্যাকাডেমি তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। এই মহৎ কবিতাজীবনকে শ্রদ্ধা জানাতে এ বার এগিয়ে এল সাহিত্য অ্যাকাডেমি। সূত্রের খবর, অনুষ্ঠান উপলক্ষে একটি পুস্তক প্রদর্শনীও আয়োজন করবেন তারা।
বুধবার সকাল ১০টায় এই আলোচনাচক্র উদ্বোধন করবেন উড়িষ্যার কবি জয়ন্ত মহাপাত্র। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাহিত্য অ্যাকাডেমির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাধব কৌশিক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’দিন ধরে চলা বেশ কয়েক দফা আলোচনা ও পাঠচক্রে অংশ নেবেন নবনীতা দেবসেন, পবিত্র সরকার, চিন্ময় গুহ, হিমবন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানের শেষে কবিতা পাঠ করবেন রণজিৎ দাশ, ভীমলেশ ত্রিপাঠী, সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়, অংশুমান কর, কৃতি সেনগুপ্ত, সুস্মেলি দত্ত প্রমুখ।
সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কলমে এক দিকে যেমন ঝলসে উঠেছিল নতুন স্বপ্ন দেখার অঙ্গীকার, অন্য দিকে তিনি তাঁর লেখায় তুলে এনেছিলেন বাবরালি বা সোলেমনের মায়ের মতো চরিত্রকে, যাঁরা আমাদের চারপাশে সদা-সর্বদাই রয়েছেন। কবির কলম সব সময় দলগত রাজনীতির উপরে উঠে কথা বলেছে।