প্রায় অর্ধশতাব্দী পরে আবার অলিম্পিকের দায়িত্বে টোকিও। ১৯৬৪ সালে প্রথম অলিম্পিক আয়োজন করে নতুন জাপানের সঙ্গে বিশ্বের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল টোকিও। উদ্যোক্তাদের দাবি, ২০২০ অলিম্পিক ইতিহাসের সবথেকে উদ্ভাবনী অলিম্পিক হতে চলেছে। বিশ্বের সবথেকে জনবহুল শহর নানা অভিনবত্ব নিয়ে হাজির হচ্ছে।
অলিম্পিকের ইতিহাসে এবার প্রথম ব্যবহার করা হবে স্যাটেলাইট। রকেটে করে প্রথমে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে। অলিম্পিক যতদিন চলবে, ততদিন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরবে এই বিশেষ স্যাটেলাইট। অলিম্পিকের সময়ে টোকিওর কোনও হোটেলে জায়গা নেই। তাই আগতদের জন্য ইয়োকোহামা বন্দরে অলিম্পিকের সময় নোঙর করা থাকবে বিলাশবহুল জাহাজ।
এছাড়াও থাকবে দুই ম্যাসকট মিরাইতোয়া ও সোমেইতির আদলে তৈরি রোবট অ্যাথলিট এবং অতিথিদের আপ্যায়ন করবে। মাঠে থাকা হ্যামার, জ্যাভলিন কুড়িয়ে আবার যথাস্থানে রেখেও দেবে।
বিশেষ পদ্ধতিতে মোবাইল ফোন দিয়ে তৈরি হচ্ছে পদক।
জুলাই–আগস্টের প্রচণ্ড গরমে হবে অলিম্পিক। গত বছর জাপানে এই সময়ে গরমে মারা গিয়েছিলেন ১৩০ জন। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল প্রায় ৭০ হাজারকে। তাই গরম থেকে বাঁচার জন্য থাকছে জল স্প্রে করার পাম্পিং স্টেশন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাঁবু, বরফ মেশিন।