সোমবার ভোর ৩.৩০ মিনিট নাগাদ শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাসস্টপের উল্টোদিকে জংশন এলাকার বাজারের একটি দোকানে প্রথমে আগুন লাগে। বাঁশ, কঞ্চি, দরমা, প্লাস্টিক, প্লাইউডের তৈরি দোকানঘরগুলিতে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। বাসস্টপের কাছেই রয়েছে পেট্রোল পাম্প। অগ্নিকান্ডের জেরে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ১৪ টি দোকান। খবর পেয়েই ওই এলাকায় যান রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর তিনি জানান,এই ১৪ জন ব্যবসায়ীকে প্রাথমিকভাবে নিজস্ব তহবিল থেকে ১০ হাজার এবং দলীয়ভাবে মিলিয়ে মোট ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে।এছাড়াও ব্যবসায়ীদের কিভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব সেটা নিয়ে আগীমাকাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।পাশাপাশি এসজেডিএ’র মাধ্যমে যদি কোন সাহায্য করা যায় সেই বিষয়টিও দেখা হবে বলে জানান মন্ত্রী গৌতম দেব।
জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি জংশন এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে এদিন বেলার দিকে এলাকা পরিদর্শনে যান মন্ত্রী গৌতম দেব এবং মেয়র অশোক ভট্টাচার্য৷ ভস্মীভূত হয়ে যাওয়া দোকানগুলির অবস্থা সরেজমিনে দেখার পর ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে কেবল নিজস্ব তহবিল থেকেই ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন গৌতম দেব৷ পাশাপাশি শিলিগুড়ি তৃণমূলের তরফে আরও ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি৷ সবমিলিয়ে, তৃণমূল ও গৌতম দেবের তরফে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাবেন৷ এছাড়া পুজোর মুখে ব্যবসায়ীদের লোকসান ঠেকাতে আর কীভাবে তাঁদের সাহায্য করা যায়, তা নিয়ে মঙ্গলবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্যও এদিনের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের যতটা সম্ভব সাহায্য করা হবে বলে জানান৷ তিনি বলেন, ‘শিলিগুড়ি পুরসভার আর্থিক ক্ষমতা সীমিত। তবু যদি ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে পুরসভাকে কোনও চিঠি দেওয়া হয়, তাহলে বিষয়টি আমি দেখব।’ এছাড়া শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি৷