বিশ্বকাপের সময়েই পাকিস্তানি ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সরফরাজের ভুঁড়ি নিয়ে কী বিদ্রুপই না হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এছাড়াও তাঁদের ডায়েটের ক্ষেত্রে কোনোদিনই সেরকম সচেতন হতে দেখা যায়নি। বিশ্বকাপের সময়েও শোয়েব মালিককে দেখা গিয়েছিল পাবে। এবার এইসব কিছুর ওপরেই নতুন ফরমান জারি করেছেন পাকিস্তানের নতুন হেড কোচ মিসবা-উল-হক। এ বার দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ফিটনেস বাড়াতে নয়া ফরমান দিয়েছেন কোচ। মিসবার স্পষ্ট নির্দেশ, জাতীয় শিবিরে কোনও ক্রিকেটারকে বিরিয়ানি বা তৈলাক্ত খাবার দেওয়া যাবে না। দেওয়া যাবে না মিষ্টি জাতীয় খাবারও।
পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার মিসবা এখন হেড স্যারের দায়িত্বে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মিসবা ডায়েট চার্ট তুলে দিয়েছেন টিম ম্যানেজমেন্টের হাতে। নিউট্রিশনিস্টের পরামর্শ মেনে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, কোনও রিচ খাবার চলবে না। এমনকি মাংস খেলেও তা খেতে হবে স্ট্যু করে।
গত বছরই আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে জানা গিয়েছিল, জার্মানির খেলোয়াড় মেসুট ওজিল ঈদের নামাজ পড়েও জুস খেয়ে ছিলেন। সে দিন ছিল বুন্দেস লিগার ম্যাচ। তাঁকে টিম ম্যানেজমেন্ট ছাড় দিয়েছিল। তবুও লোভ সামলে নিয়েছিলেন ওজিল।
এমনিতে প্রত্যেকটি পেশাদার খেলোয়াড়ই নিজেদের নির্দিষ্ট ডায়েট তালিকায় বেঁধে রাখেন কিন্তু পাকিস্তান টিম তো এ সব ক্ষেত্রে সবসময়েই আলাদা। বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হারার পর পাক জনতার একটা বড় অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় পাক অধিনায়কের একটি ছবি ছড়িয়ে দিয়েছিল। যাতে দেখা গিয়েছিল, এক থালা পিৎজা, বার্গার নিয়ে বসেছেন ক্যাপ্টেন। তাই এহেন টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে মিসবার ফরমান কতটা কাজ করে এখন সেটাই দেখার।