অব্যাহত গেরুয়া সন্ত্রাস। এক নাগাড়ে আরামবাগ মহকুমার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ওপরে চলছে গেরুয়া আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলা। এবার আক্রান্ত হলেন গোঘাটের রঘুবাটি গ্রামের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি শ্রীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। গুরতর জখম অবস্থায় আপাতত তিনি আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি।
আহত ওই তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, গতকাল বিকেলে তৃণমূলের এক মিছিল এবং সভার জন্যে কর্মীদের সঙ্গে প্রচারে গিয়েছিলেন। ফেরার সময়ে যখন তাঁরা একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন তখন আচমকা প্রায় ৩০-৪০ জন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী তাঁদের ওপর চড়াও হয়। বেধড়ক মারধর করে তাঁকে ছুঁড়ে ফেলা হয়, তখন একটি ল্যাম্পপোস্টের সঙ্গে তাঁর বুকে মারাত্মক জোরে ধাক্কা লাগে। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে তাঁরা পালিয়ে যায়। এরপরে শ্রীকান্তকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শ্রীকান্তব আরো জানিয়েছেন, “ যত দিন যাচ্ছে ততই মানুষের গেরুয়া মোহ ভঙ্গ হচ্ছে। পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে বুঝতে পেরেই এখন এভাবে মারধর করে সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। শ্রীকান্ত বাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।
খানাকুলের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য নিমাই বেরাও আহত হয়েছেন বিজেপির হামলায়। তাঁর অভিযোগ, তাঁর গায়ে বিজেপির পতাকা জড়িয়ে তাঁকে জয় শ্রী রাম বলতে বাধ্য করা হয়। তিনি রাজি না হলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়।পরে স্থানীয় কর্মীরা তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বিজেপি নেতা মণিশঙ্কর জানা-সহ ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুধু শ্রীকান্ত বা নিমাই নয়, গতকাল সকালে বিজেপির গুন্ডামিতে আহত হয়েছেন তৃণমূল নেতা শ্যামল সাঁতরা এবং কর্মী সঞ্জয় দাস।কাল সকালে শ্যামলবাবুদের কয়েক জন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী লাঠি দিয়ে মারধর করে। যার জেরে সঞ্জয় বাবুর ডান হাতের তিনটি আঙুল ভেঙ্গে যায়। বাইকে চড়ে পালিয়ে কোনও মতে প্রাণে বাঁচেন শ্যামল। ঘটনার খবর চাউর হতেই বিজেপির তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল।