বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছে ধরমশালা ম্যাচ, আপাতত টিম ইন্ডিয়ার লক্ষ্য কাল মোহালিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি। এখনও পর্যন্ত মোহালিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। সে ক্ষেত্রে সিরিজের প্রথম বল মোহালির পিসিএ স্টেডিয়ামেই পড়তে চলেছে। এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রে নিঃসন্দেহে মধ্যমণি সদ্য ২০ বছরে পা দেওয়া শুভমন গিল। যিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজের দলে জায়গা করে নিয়েছেন।
আগামীকালের ম্যাচে সবার চোখ ঋষভ পন্থের দিকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে চার নম্বরে পরপর দুটো ম্যাচে ব্যর্থতার পরে তৃতীয় ম্যাচে ৬৫ নট আউট করে মুখ রক্ষা করেছিলেন ঋষভ। টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে জানিয়ে দিয়েছে, তাঁর উপর যে আস্থা রাখা হচ্ছে, তিনি যেন তাঁর মর্যাদা দেন। মনে রাখতে হবে, দোনি এখনও অবসর নেননি এবং সোমবারই চেন্নাই সুপার কিংস মালিক শ্রীনিবাসন জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী বছর আইপিএলে সিএসকে-কে নেতৃত্ব দেবেন ধোনি। তা ছাড়া নিবার্চকদের চেয়ারম্যান এমএসকে প্রসাদও জানিয়েছেন, ধোনি আগামী বছরের বিশ্বকাপ ভাবনার বাইরে নন। ব্যাটে ঋষভের পাশাপাশি এই সিরিজে নজরে থাকবেন দুই স্পিনার রাহুল চাহার ও ওয়াশিংটন সুন্দর। ফলে প্রশ্ন উঠছে, সাদা বলের ছোট ফর্ম্যাট টি-টোয়েন্টিতে কি কুলচার দিন ফুরিয়েছে?
বিরাট কোহলি ইঙ্গিত দিয়েছেন, সামনের বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাথায় রেখে টিম গড়ার লক্ষ্যে এগোবে ভারত। সেখানে ব্যাটিংকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। কারণ ভারত নিয়মিত টি-টোয়েন্টিতে ২০০ থেকে ২২০ রান করতে চায়। কুলদীপ ও চাহলের জায়গায় ভারত নিয়েছে লেগস্পিনার রাহুল চাহার ও অফস্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দরকে। আগামী বছর আইপিএলের আগে ভারত মোট ১৭টা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। এই ম্যাচগুলো থেকেই পরিষ্কার হবে, বিশ্বকাপের জন্য কী ভাবে এগোবে টিম।
তবে আজ, মঙ্গলবার মাইসুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় চার দিনের বেসরকারি ম্যাচে নজরে আরও তিন চরিত্র। যাঁদের নিয়ে ইতিমধ্যে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন নির্বাচকেরা। তাঁরা হলেন বাংলার অভিমন্যু ঈশ্বরন, গুজরাতের প্রিয়ঙ্ক পঞ্চাল এবং এই ম্যাচের অধিনায়ক ঋদ্ধিমান সাহা। যাঁকে টেস্ট সিরিজে ফের উইকেটের পিছনে দেখার উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে।
নিজেকে ফের জাতীয় দলে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াইয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ঋদ্ধিমান সাহাও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রিজার্ভ হিসেবে দলে ছিলেন বাংলার এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। দুই টেস্টের সিরিজে ঋষভ পন্থ খেললেও তাঁর কিপিং দক্ষতা নিয়ে এখনও সন্তুষ্ট হতে পারেনি ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজের দলে ঋষভকে রাখা হলেও উইকেটকিপার হিসেবে ঋদ্ধিকে মাঠে ফিরিয়ে আনার ভাবনা কাজ করছে বিরাট কোহালির মনে। আর নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া ঋদ্ধি নিশ্চিত ভাবে নিজেকে উজাড় করে দেবেন।
গত ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে ৯০ রান শুভমনের সামনে খুলে দিয়েছে ভারতীয় টেস্ট দলে ঢোকার দরজা। শুধু তাই নয়। এই ম্যাচেও পঞ্জাবের কৃষিবিদের সন্তান বড় রানের ইনিংস খেলে ফেললে তা প্রকারান্তরে চাপেই রেখে দেবে ভারতীয় দলের নতুন ওপেনিং জুটি রোহিত শর্মা এবং মায়াঙ্ক আগরওয়ালকেও। কিন্তু জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার দৌড়ে খুব পিছিয়ে নেই অভিমন্যু এবং প্রিয়ঙ্কও। এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের ওপেনিং নিয়ে যে ধাঁধা তৈরি হয়েছে, তার সমাধান হিসেবে নির্বাচকদের চোখে রয়েছেন এই দুই নতুন তারকা। ফলে এই ম্যাচ তাঁদের দু’জনের কাছেই বড় পরীক্ষা হতে চলেছে।