রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিদ্যাসাগরের বাদুড়বাগানের বাড়িতে তাঁর নামে অ্যাকাডেমি গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে গড়া হবে একটি মিউজিয়াম বা সংগ্রহশালাও। অ্যাকাডেমিতে বিদ্যাসাগরের ওপর গবেষণামূলক কাজ হবে। সংগ্রহশালায় স্থান পাবে তাঁর ব্যবহৃত নানা জিনিসপত্র। যার কিছু সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে।
১৮৯১ সালের ২৯ জুলাই সত্তর বছর বয়সে বাদুড়বাগানের বাড়িতেই মহাপ্রয়াণ হয় বিদ্যাসাগরের। তিনতলা বাড়িটি এখন বিদ্যাসাগর উইমেন্স কলেজের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। ২৬ সেপ্টেম্বরের অনুষ্ঠান উপলক্ষে সংস্কারের কাজ চলছে। বাড়ির ভিতরে একটি মঞ্চও রয়েছে।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যাসাগরের জন্মের দ্বিশতবর্ষ উপলক্ষেই অ্যাকাডেমি ও সংগ্রহশালা গড়ার সিদ্ধান্ত। দ্বিশতবর্ষ উপলক্ষে যে কমিটি গড়া হয়েছে তার চেয়ারম্যান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি। কমিটির বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যাসাগরের জন্মের ২০০ বছর উপলক্ষে ওইদিন বীরসিংহ গ্রামে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষা দফতর এবং সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নানা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দফতরের পক্ষ থেকে ‘আমাদের বিদ্যাসাগর’ নামে একটি বই প্রকাশ করা হচ্ছে। নবম থেকে দ্বাদশ এবং কলেজের ছাত্র–ছাত্রীদের জন্য। যেখানে বিদ্যাসাগরের ওপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আচার্য রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী এবং সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের লেখা থাকবে। বইটির দায়িত্বে রয়েছেন সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার।
লেখাপড়া শেখার জন্য বীরসিংহ গ্রাম থেকে বাবা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কলকাতায় আসেন ঈশ্বরচন্দ্র। ১৮২৯ সালের ১ জুন সংস্কৃত কলেজের (যা এখন সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়) ব্যাকরণের তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন। সেই সময় তাঁর রোল নম্বর ছিল ২৬৫। ক্লাসের হাজিরা খাতাটি এখন রয়েছে সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের হেফাজতে। এই খাতাটি স্থান পাবে বাদুড়বাগানের বাড়ির সংগ্রহশালায়।