কুমোরটুলিতে তোড়জোড় চলছে। মাটির প্রতিমায় রঙের পোঁচ পড়তে শুরু করেছে, মহালয়ার দিন হবে চক্ষুদান। জমে উঠছে বিকিকিনিও। তবে এতোকিছুর পরেও সকলের মনে একটাই প্রশ্ন, সব আয়োজন মাটি করে দেবে না তো বৃষ্টি?
বাঙালির পুজোর বাকি এখনো তিন সপ্তাহ। তাই পুজো নিয়ে সাততাড়াতাড়ি কোনও পূর্বাভাস দিতে নারাজ আবহাওয়া দফতর। কিন্তু পুজোই এ বার সাততাড়াতাড়ি পড়েছে, তাই জনতা মোটামুটি ধরেই রেখেছে, বৃষ্টি হবে। সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবহবিদরাও।
অক্টোবর-নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় প্রবণ মাস। ২০১৩ সালে ঘূর্ণিঝড় পিলিন নবমী-দশমী মাটি করে দিয়েছিল বাংলার। গত বছর মহালয়ার পর পরই উড়িষ্যায় হাজির হয় ঘূর্ণিঝড় তিতলি। স্থলভাগে ঢোকার পর দুর্বল হলেও বাঁক নিয়ে সরে আসে বাংলার দিকে।
এমনিতে কলকাতা থেকে বর্ষা বিদায় নেয় ৮ অক্টোবর নাগাদ। এ বারের পুজোর নির্ঘণ্ট অনুযায়ী ওই দিন দশমী। কিন্তু গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা, বর্ষা যেতে যেতে অক্টোবরের মাঝামাঝি হয়ে যাচ্ছে। তার পরও বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
জুন-জুলাই মিলিয়ে যে আলিপুরে মাত্র ২৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল, সেখানে শুধু অগস্টে বৃষ্টির পরিমাণ ৫৪৯ মিলিমিটার। সেপ্টেম্বরে ৩১৮.১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় শহরে। প্রথম ১৫ দিনেই ১৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। আবহবিদদের ব্যাখ্যা, বর্ষার শুরুতে প্রশান্ত মহাসাগরের ‘এল নিনো’র কুপ্রভাব পড়ছিল। সেই নাগপাশ থেকে মুক্তি মিলেছে।