চলতি বছরে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে জুন-সেপ্টেম্বরে। হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, দিল্লী এবং উত্তরাখণ্ডে লাগাতার বৃষ্টিতে যমুনার জলস্তর বেড়েছে। হিমাচলের পাশাপাশি মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডের একাংশও। অন্যদিকে, বৃষ্টিতে ভেসে গেছে মহারাষ্ট্রের মুম্বই ও শহরতলি এলাকা। প্লাবিত অসমও। এখনও অবধি মৃতের সংখ্যা ১৪২২। আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট বলছে, ২০১০ সালে বৃষ্টি ও বন্যার দাপটে দেশে ১৩৭৯ জন মৃত্যু হয়েছিল। যার মধ্যে করলেই ৪৯৮ জনের। চলতি বছরে সেই রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে।
প্রায় ন’বছর আগে ২০১০ সালে বৃষ্টির এমন ভয়াবহতা দেখেছিল দেশ। বন্যার জলে ভেসে, ঘরবাড়ি ভেঙে মৃত্যু হয়েছিল বহু মানুষের। পুনরাবৃত্তি ঘটল সেই ঘটনার। এবছরে ফের বন্যায় ভাসল উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র, কেরল থেকে অসম। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, চলতি বছরে ১ জুন থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৪২২ জনের। সংখ্যাটা আরও বাড়ার সম্ভাবনা।
আইএমডি-র ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, শুধু উত্তরাখণ্ড ও বিহারই নয়, এরকম ভয়ংকর বৃষ্টির জেরে উত্তর-পূর্বের আসাম, অরুণাচল ও মেঘালয়ের দশাও বেশ খারাপ। বন্যায় ডুবে গিয়েছে কাজিরাঙা জাতীয় অরণ্যের ৭০% এলাকা। বিপর্যস্ত অরুণাচল ও মেঘালয়ও। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত দেড় দশকে ব্রহ্মপুত্রের এমন রূপ দেখেনি গুয়াহাটি। বিপদসীমা যেখানে ৪৯ সেন্টিমিটার, সেখানে ব্রহ্মপুত্র ৫১ সেন্টিমিটার ছুঁয়েছে। রাজ্যের ৩২টি জেলা বন্যা কবলিত। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪৫ লক্ষ মানুষ।
রিপোর্ট বলছে, বন্যার কারণে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৩১৭ জনের। মধ্যপ্রদেশে ২০০ জনের। গোয়া, কঙ্কন, মধ্যপ্রদেশ এবং মধ্য মহারাষ্ট্রে জলবন্দি হয়েছেন বহু মানুষ। আইএমডি-র তথ্য বলছে, জুলাইয়ের ১০ তারিখে ২৪ ঘণ্টায় ১১৫ মিলিমিটার থেকে ২০১.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ধস, মেঘভাঙা বৃষ্টি ও বন্যার জেরে উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় কম করেও ২৭-৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃষ্টির জেরে জল বেড়েছে উত্তরপ্রদেশের রাপ্তি নদীতেও এবং সেটা বিপদসীমা ছাড়িয়েছে বলে জানা গেছে৷