কথায় বলে ‘এজ ইস জাস্ট এ নাম্বার’! সত্যিই তাই৷ বয়স শুধুই সংখ্যা৷ কত বয়সেও কত মানুষ কত কিছু করে৷ আর সেখানে বিখ্যাত অভিনেতা কবির বেদীর বয়স তো ‘মাত্র’ ৭০! আর কোথাও কি লেখা আছে বিয়ে একটাই হতে পারে? বিয়ের কি নির্দিষ্ট বয়স লাগে? তাই ৭০ বছরেই চতুর্থবার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন কবির৷
শুক্রবারই চতুর্থ বার বিয়ে করেছেন প্রবীণ অভিনেতা কবির বেদি। শনিবারই ছিল কবির বেদির ৭০তম জন্মদিন। ঠিক তার আগের দিনই বান্ধবী পরভিন দুসাঞ্জকে বিয়ে করেন কবির। ২৯ বছর ছোট পরভিনের সঙ্গেই বছর দশেক ধরে লিভ-ইন করতেন কবির। বিয়ের খবরে নিজেদের খুশি চেপে রাখেননি কবিরের অভিনয় জগতের বন্ধুরা। কবিরকে অভিনন্দন তাঁর বন্ধু গুলশন গ্রোভার বলেন, “তিনি চান কবির আরও দশটি বিয়ে করুন।”
কবির-পারভিনের বিয়ের ঘোষণাটি ছিল চমকে ভরা। দুই পরিবারের আত্মীয়স্বজন, বলিউডের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে নিজের ৭০তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করে কার্ড পাঠিয়েছিলেন কবির। আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পারভিনও। নিমন্ত্রিতদের অনুরোধ করা হয়েছিল, আগে এসে সুফি সংগীত শুনবেন। সেই নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে দেশবিদেশ থেকে আত্মীয়েরা হাজির হয়েছিলেন মুম্বইয়ে। গত পরশু স্পিডবোটে তাঁদের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া থেকে আলিবাগে নিয়ে যাওয়া হয়।
চমক ছিল আলিবাগে— কবিরের আত্মীয় সোহিনী তান্নার সমুদ্রমুখী বাড়িতে। জন্মদিনের সমারোহ সেখানেই পালন করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেখানেই হঠাৎ বিয়ে করেন কবির-পারভিন। গত ১০ বছর ধরে দু’জনে একসঙ্গে থাকেন। সম্প্রতি রোমের ‘স্প্যানিশ স্টেপস’এ (গ্রেগরি পেক-অড্রি হেপবার্নের ‘রোমান হলিডে’র সূত্রে যে জায়গা বিশ্ববিখ্যাত) হাঁটুমুড়ে বসে কবীর বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সঙ্গিনীকে। পারভিন রাজি হন। তবে বিয়ের খবর আগে ফাঁস করা বা জাঁকজমকে আপত্তি ছিল পারভিনের। সেকারণেই জন্মদিনের অনুষ্ঠানের মোড়ক।
তবে সত্তরেও ‘তরুণ’ বাবার বিয়ে মেনে নিতে পারেননি কবীরের বড় মেয়ে অভিনেত্রী পূজা বেদী। মেনে নিতে পারেননি ৪২ বছর বয়সী (তাঁর চেয়ে চার বছরের ছোট) সৎমাকে। ক্রুদ্ধ পূজার টুইট, ‘প্রতিটি রূপকথার গল্পে একজন করে দুষ্টু ডাইনি থাকে বা একজন শয়তান সৎমা। আমার সৎমাও এইমাত্র আবির্ভূত হলেন’।