নিজের অবস্থা নিয়ে মেয়রের কাছে গেছিল এলাকার বাসিন্দারা। পুর পরিষেবা নিয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতা ও এলাকার সমস্যার কথা জানাতে এসেছিলেন তাঁরা। আর ক্ষনিকের মধ্যেই পুরো বিধাননগর পুরনিগমের অফিসটাই যেন উঠে এসেছে তাঁদের ওয়ার্ডে। বাড়ির সামনে আধিকারিকদের নিয়ে হাজির মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। মন দিয়ে শুনেছেন সমস্যার কথা। আধিকারিকেরা ‘নোট’ নিয়েছেন। কোন কাজগুলি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বা শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা জানান মেয়র।
পাশাপাশি বললেন, পরিষেবা সংক্রান্ত অন্য সমস্যাগুলিও দ্রুত সমাধান করা হবে। একই সঙ্গে পুজো উদ্যোক্তাদের জন্য সুখবরও শুনিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘পুজোর জন্য কোনও ‘ফি’ নেবে না পুরনিগম। তবে মণ্ডপের বাইরে মেলা করলে বা বিজ্ঞাপনের বড় গেট বসালে অর্থাৎ যেখানে রোজগার হবে কমিটির, সেখানে পুরনিগমকে টাকা দিতে হবে।’
প্রসঙ্গত, ‘আপনার ওয়ার্ডে আপনার মেয়র’ কর্মসূচিতে এদিন ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়েছিলেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। ছিলেন মন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়ক পূর্ণেন্দু বসু এবং রাজ্যসভার সাংসদ ও পুরনিগম এলাকার বাসিন্দা দোলা সেন, মেয়র পারিষদ দেবাশিস জানা। দুটি ওয়ার্ডই কেষ্টপুর এলাকায়। বাসিন্দারা রাস্তা, আলো, পানীয় জল, নিকাশি, আবর্জনা সাফাই–সহ পরিষেবা সংক্রান্ত কিছু সমস্যা এখনও রয়েছে বলে জানান। রাজারহাট এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স ও মিউটেশন নিয়ে সমস্যা আছে। মেয়র, মন্ত্রী ও সাংসদকে হাতের কাছে পেয়ে এ নিয়ে দ্রুত সমাধান বের করার আর্জি জানান বাসিন্দারা। মেয়র বলেন, ‘সাধারণ মধ্যবিত্তদের বৈধভাবে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। নিয়মে কিছু সরলীকরণ করা হবে। এলাকাতে গিয়েই আমরা ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করব।’
মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন, ‘বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য কেষ্টপুর খালের ওপর বিধাননগরের সঙ্গে সংযোগকারী একটি সেতু তৈরির কাজ চলছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। এই বছরের মধ্যেই পানীয় জল সমস্যার সমাধান করতে হবে। তবে, রাস্তা মেরামতির যে কাজগুলি হবে, তা নিয়ম মেনে হচ্ছে কিনা, তা দেখা উচিত বাসিন্দাদের। ঠিকমতো নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা, দেখা দরকার। আমিও নজর রাখব। আরও কিছু সমস্যা হচ্ছে। প্রয়োজনে দু–এক মাস পর এ নিয়ে মেয়রের সঙ্গে দেখা করব।’ এই এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স, মিউটেশন, বেআইনি নির্মাণ সমস্যার কথা বলেন দোলা সেন। পরিষেবা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে কী কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাও বলেন সাংসদ।