বিশ্ব ক্রিকেটে অন্যতম সেরা বোলার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর নিখুঁত ইয়র্কারে ছারখার হয়ে গেছে বিপক্ষের উইকেট। কঠিন সময়ে তাঁর হাতে বল তুলে দিয়ে নিশ্চিন্ত হয়েছেন অধিনায়ক। তাঁর কেরিয়ারের শুরু হয়েছে সাদা বল দিয়ে। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে জশপ্রীত বুমরা টি-২০ কিংবা ওয়ান ডে ফরম্যাটে সীমাবদ্ধ থাকেননি। ধীরে ধীরে টেস্ট ক্রিকেটেও অনন্য হয়ে উঠেছেন তিনি। আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে তিন নম্বরে উঠে এসেছেন ভারতের এই স্পিডস্টার।
সদ্য সমাপ্ত ক্যারিবিয়ান সফরে গতি ও স্যুইংয়ের মিশেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংকে ছারখার করে দিয়েছিলেন বুমরাহ। মাত্র ১২টি টেস্ট খেলেই ৬২টি উইকেটের মালিক তিনি। বুমরাহ বলেছেন, ‘কখনই সাদা বলের ক্রিকেটার হিসাবে আটকে থাকতে চাইনি। প্রথম থেকেই চেষ্টা ছিল, টেস্টে কিছু করে দেখাতে হবে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সাফল্য আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল। সাদা জার্সি গায়ে চাপিয়ে দেশের হয়ে টেস্ট খেলার অনুভূতিটাই অন্যরকম। সন্দেহ নেই, সাফল্য আমায় সাহস জুগিয়েছে। পাশাপাশি আনন্দ ও উত্তেজনা উপভোগ করেছি।’
২০১৮ সালে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে প্রথমবার ইনিংসে পাঁচটি উইকেট পেয়েছিলেন বুমরা। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘টেস্ট ক্রিকেটকে সব সময় প্রথম সারিতে রেখেছি। তাই প্রথমবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পাওয়ার আনন্দ একটু বেশিই ছিল। এটাও মনে হয়েছিল, এবার আর আমাকে টেস্ট দল থেকে কেউ আর তাড়াতে পারবে না।’
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আসন্ন টি-২০ সিরিজে বুমরাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি প্রোটিয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে খেলবেন। যা শুরু হবে ২ অক্টোবর। ঘরের মাঠে এটাই হতে যাচ্ছে বুমরার প্রথম টেস্ট সিরিজ। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক অভিজ্ঞতারই গুরুত্ব রয়েছে। ঘরের মাঠে প্রথম টেস্ট সিরিজ খেলব বলে আলাদা করে কোনও পরিকল্পনা করিনি। জীবনে বহু রনজি ম্যাচ খেলেছি। সেই অভিজ্ঞতাই কাজে দেবে। তবে দেশের মাটিতে টেস্ট খেলা সব সময়ই কঠিন চ্যালেঞ্জ। প্রস্তুতি এবং অভিজ্ঞতার মিশেলই আমার সম্পদ। সাফল্য নিশ্চয়ই ধরা দেবে। ক্রিকেট আমার শুধুমাত্র পেশা নয়, নেশাও। তাই মাঠে নেমে সবসময় বাড়তি মোটিভেশন পাই। এটাই সবচেয়ে ইতিবাচক দিক।’