লোকসভা নির্বাচনের পর মোহে পড়ে কিছু তৃণমূল নেতা-কর্মী গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। তবে মোহ তো চির স্থায়ী হয় না। তাই সেই মোহ কাটতেই আবার পুরোনো ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন তাঁরা। মাত্র তিন মাস পরই বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের কল্যাণী গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ জন সদস্য ঘাসফুল শিবিরে প্রত্যাবর্তন করলেন। ফলে ৯ সদস্যের এই গ্রামপঞ্চায়েত পুনরুদ্ধার করল শাসকদল তৃণমূল।
লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার দুটি লোকসভা আসন তৃণমূলের হাতছাড়া হওয়ার পরেই এই জেলায় রাজনৈতিক শিবির বদলের হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ওন্দা ব্লকের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান এবং সদস্যরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। চূড়ামণিপুর, রামসাগর, রতনপুর, কাটাবাড়ি, মেদিনীপুরে দল বদলের ফলে রাতারাতি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতেও ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছিল। এরপরেই বিশেষ তৎপরতা নিয়ে ময়দানে নামে তৃণমূল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তৃণমূলের অন্দরে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরার গুঞ্জন ছিল। ইতিমধ্যেই নাকাইজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান সহ একাধিক সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার পালা শুরু।
বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলছেন, “বিজেপির প্রতি মোহ ভাঙছে মানুষের।” এদিন বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফেরা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল সাঁতরা, বিধায়ক অরূপ খাঁ, সোনামুখীর তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা। কয়েকদিন আগে ওন্দা ব্লকের নাকাইজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান-সহ সব সদস্য পদ্মশিবির ছেড়ে পুনরায় ফিরে এসেছেন ঘাসফুল শিবিরে।
নাকাইজুড়ি, চূড়ামণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পর কল্যাণী গ্রাম পঞ্চায়েত পুনরুদ্ধার করায় এখন উদ্দীপনায় ফুটছেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা। আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একে হাতিয়ার করেই ফের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে লড়াইয়ের রসদ জোগাড় করছে শাসক শিবির। শুক্রবার এই পট পরিবর্তনে খুশির হাওয়া তৃণমূল শিবিরে।