রাজ্যসভার কোনও স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হল না তৃণমূলকে। শুক্রবার প্রায় মাঝ রাতে সংসদের দুই সভার নব গঠিত সব স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল থেকে একমাত্র দলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রক সংক্রান্ত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল হল তৃণমূল। রাজ্যসভায় জোড়াফুল শিবিরের ১৩ জন সাংসদ রয়েছেন। এর মধ্যে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন ছিলেন পরিবহণ, পর্যটন ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান। এবার তাঁকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। যে ভাবে একটাও স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান পদও তৃণমূলকে দেওয়া হল না তা হতাশাজনক। এদিকে রাজ্যসভায় তৃণমূলের তুলনায় সদস্য কম হলেও জগন্মোহনের ওয়াইএসআর কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি এবং তেলঙ্গনা রাষ্ট্রীয় সমিতির প্রতিনিধিরাও স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানের পদ পেয়েছেন। সংসদের উচ্চকক্ষে তৃণমূলের ১৩ জন সাংসদ রয়েছেন। সেখানে জগন্মোহনের দলের রয়েছে ২ জন, টিআরএসের ৬ জন এবং সপা-র ৯ জন সদস্য।
সংসদীয় গণতন্ত্রে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানের গুরুত্ব কম নয়। এই পদের রাজনৈতিক গুরুত্বও রয়েছে। স্ট্যান্ডিং কমিটি যে প্রয়োজনে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের সচিবদের ডেকে কৈফিয়ত চাইতে বা প্রশ্ন করতে পারেন সাম্প্রতিক কালে তার ভুরি ভুরি নমুনা দেখা গিয়েছে। মোদ্দা কথায়, এই পদের গরিমা রয়েছে সংসদীয় রাজনীতিতে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সংসদীয় কমিটি গঠন নিয়েও সংকীর্ণ রাজনীতি করছে বিজেপি। যেহেতু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন তাই তৃণমূলকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে বিজেপি। একদিকে তৃণমূলের জাতীয় দলের মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। সে জন্য নির্বাচন কমিশনের তরফে নোটিশ দেওয়া হয়েছে দলকে। অন্যদিকে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান পদ দেওয়া নিয়েও রাজনীতি করা হল।