বাংলার সরকারি হাসপাতালে এমনিতেই মেলে বিনামূল্যের পরিষেবা আর ওষুধ। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় বেসরকারি হাসপাতালেও এখন মেলে বার্ষিক পাঁচ লাখ টাকার চিকিৎসা খরচ। এক টুইট বার্তায় স্বাস্থ্যে রাজ্য সরকারের এই সাফল্যের খতিয়ান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিয়েছেন বেশ কিছু পরিসংখ্যানও।
ওই টুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, বাংলার সমস্ত সরকারি হাসপাতালে রাজ্যবাসীর জন্য রোগ নির্ণয় এবং ওষুধ এখন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ফিরছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন রাজ্যের অন্তত সাড়ে সাত কোটি মানুষ। এ দিন সকালে একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, যবে থেকে এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু হয়েছে, তবে থেকে আজ পর্যন্ত ৬.৫৩ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। এই বাবদ রাজ্য সরকারের প্রায় ৬,৭০০ কোটি টাকা খরচ পড়েছে। ৯৮৩টি বেসরকারি-সহ রাজ্যের মোট ১৪৭২টি হাসপাতাল এই স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পের অধীনে পরিষেবা দিয়ে চলেছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পড়শি রাজ্য ত্রিপুরায় বিনামূ্ল্যের স্বাস্থ্য অতীত হতে চলেছে। স্বাস্থ্য-শুল্ক নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিজেপি-শাসিত ওই রাজ্যে। এমনই সন্ধিক্ষণে মুখ্যমন্ত্রীর এই পোস্ট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, তিনি দেশবাসীকে মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন, তাঁর রাজ্যের মানুষ এ ব্যাপারে কতটা উপকৃত।
সরকারি সূত্রে খবর, ক্রমেই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প সম্প্রসারিত করা হচ্ছে লাগাতার। গোড়ায় সরকারি চাকুরে নন অথচ সরকারি পরিষেবায় যুক্ত, এমন ব্যক্তি ও তার পরিবারকে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় আনা হয়েছিল। পরে বিভিন্ন ধরনের শিল্পী ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের হরেক পেশাদারকেও এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ধাপে ধাপে।