দীর্ঘদিন ধরেই রঞ্জিতে সাফল্য নেই বাংলার। ভাগ্য ফেরাতে দলের ব্যাটন তুলে দেওয়া হয়েছে তরুণ ক্রিকেটার অভিমন্যু ঈশ্বরনের হাতে। দলের দায়িত্ব পেয়েছেন অরুণ লাল। বাংলার দায়িত্ব নিয়েই তিনি জানালেন, বাংলা ক্রিকেট থেকে আমি সবকিছু পেয়েছি। তাই বাংলা ক্রিকেটের প্রতি সর্বদাই আমি কৃতজ্ঞ। আমার মনে হয় বাংলার ক্রিকেটের প্রতি আমার কিছু দায়িত্ব-কর্তব্যও রয়েছে। তাই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যখন আমাকে বাংলার কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেয় তখন আমি দ্বিতীয়বার ভাবিনি।
অভিমন্যু ঈশ্বরনের মত তরুণ ক্রিকেটারকে অধিনায়ক করা হয়েছে এবার। অরুণ নিজেই অধিনায়ক বেছে নিয়েছেন। এর পিছনে কারণ কী? এই প্রশ্নের জবাবে চাণক্য বলেন, মনোজ বহুদিন ধরে দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। বাংলার ক্রিকেট ওর কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। কিন্তু, সময় এসেছে সামনের দিকে তাকানোর। আমাদের মনে হয়েছে এটাই সেরা সময় অভিমন্যুর মত একজন তরুণের হাতে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেওয়ার। এর ফলে মনোজ ওকে অধিনায়কত্বের খুঁটিনাটি বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারবে।
অভিমন্যুকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন কোচ। তিনি বললেন, ভবিষ্যতে ও বাংলার সফলতম অধিনায়কও হয়ে উঠতেই পারে।অভিমন্যু প্রচণ্ড ফিট। ভারত এ দলের হয়ে দলীপ ট্রফিতে দুর্দান্ত খেলেছে অভিমন্যু। বিরাটের মতোই দলের সবার জন্য ও উদাহরণ সৃষ্টি করছে। শুধু তাই নয়, মানুষ হিসাবেও ও খুব ভালো। ঈশ্বরনের সম্পর্কে কেউ কখনও খারাপ কিছু বলবে না। ওর মতো একজন তরুণকে অধিনায়ক হিসেবে পেয়ে আমি খুশি। আমার মতে, চার-পাঁচ বছরের মধ্যে ও পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে।
তবে শুধুই বাংলা ক্রিকেট দল নয়, তিনি ভাবছেন ভারতীয় দল নিয়েও। ভারতীয় দলে বিশ্বকাপের পর থেকেই উইকেটরক্ষক নিয়ে নানারকম টালবাহানা চলছেই। ঋষভের উপর আস্থা রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। শুরুটা ভাল করেও ফর্ম ধরে রাখতে ব্যর্থ ঋষভ। শোনা যাচ্ছে আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে হয়তো আবার উইকেটের পিছনে বাংলার ঋদ্ধিকেই দেখা যাবে।
এই প্রসঙ্গে অরুণ বলেন, আমি সবসময়ই ঋদ্ধিকেই দলে রাখতাম। উপমহাদেশের পিচে উইকেটের পিছনে সব সময়ে ভাল কিপারের প্রয়োজন হয়। আমার মতে, ঋদ্ধি শুধু ভারতেরই নয়, বিশ্বের অন্যতম সেরা কিপার। ঋদ্ধি যদি জাতীয় দলে প্রথম এগারোয় সুযোগ না পায়, তা হলে তা বিস্ময়কর। ঋষভ খুবই প্রতিভাবান। তবে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ ও আরও পাবে। এখনকার জন্য আমি ঋদ্ধিকেই এগিয়ে রাখব।