ফের প্রশ্নের মুখে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের বসার জায়গা, এমনকি খাবারেও আরশোলা ঘুরে বেড়ানোর মত বড়সড় অভিযোগ উঠল এবার শতাব্দী এক্সপ্রেসে। ট্রেনে থাকা যাত্রীদের অভিযোগ, খাবারে ঘুরে বেড়ানো জ্যান্ত আরশোলা থাকা খাবারই তাঁদের হাতে তুলে দিচ্ছেন আইআরসিটিসি-র কর্মীরা। তাঁরা আরও বলেন যে, টাকা খরচ করেও মিলছে না সঠিক পরিষেবা। এই ঘটনার পরই মালদহ টাউন স্টেশনে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। তবে যাত্রী বিক্ষোভের পরেও রেলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সোমবার নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছাড়ে শতাব্দী এক্সপ্রেস। নির্ধারিত সময়মতো ট্রেন ছাড়েনি বলেই অভিযোগ। ট্রেনের সময়ের গন্ডগোল নিয়ে যাত্রীদের নিয়মিতই অভিযোগ থাকে। তার উপর আবার ট্রেনের কামরায় পা দিতে না দিতেই দেখা মিলল আরশোলার। তাতেই বেজায় চটেছেন যাত্রীরা। অভিযোগ, বারবার রেলকর্মীদের জানানো হলেও, লাভ কিছুই হয়নি। তাঁদের থেকে কোনোরকম সাহায্যও পাওয়া যায়নি।
পরিবর্তে নোংরা এবং আরশোলা থাকা কামরাতেই রেলযাত্রা করতে হয় তাঁদের। কিছুটা যাওয়ার পরই খাবার দেওয়া হয় যাত্রীদের। তা হাতে নিয়ে প্রায় বমি হয়ে যাওয়ার জোগাড় এক যাত্রীর। কারণ তিনি দেখেন, খাবারের মধ্যেও দিব্যি হেঁটে চলে বেড়াচ্ছে আরশোলা। রেলকর্মীদের জানিয়েও কোনও সদুত্তর মেলেনি। হয়নি কোনো সুরাহাও। তাই বাধ্য হয়ে খাবার ফেরত দিয়ে দেন যাত্রীরা।
এভাবেই মালদহ টাউন স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছন শতাব্দী এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। ঠিকঠাক পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগে স্টেশনে নেমেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। নিম্নমানের খাবার সরবরাহের পাশাপাশি খাবারে জ্যান্ত আরশোলা ঘুরে ফিরে বেড়ানোয় অত্যন্ত বিরক্ত যাত্রীরা। এই নিয়ে মালদহ স্টেশনে রেলপুলিশের কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন তাঁরা।
দিনকয়েক আগে পুরী-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেসের ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ার ঘটনা সামনে আসে। এর আগেও একাধিকবার নানা কারণে ভারতীয় রেলের পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে যাত্রীমহলে। গাঁটের কড়ি খরচের পরেও কেন এমন দুর্বিষহ যাত্রা হবে, সেই প্রশ্ন তোলেন তিতিবিরক্ত যাত্রীগণ। যদিও রেলের তরফে এখনও অবধি কেউই এ বিষয়ে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দেয়নি।