অগণতান্ত্রিক ভাবে কাশ্মীরে ৩৭৭ ধারা রদ করেছে মোদী সরকার। তারপর থেকেই উত্তপ্ত কাশ্মীর। উপত্যকার হাসপাতালে প্রায় ১৫০ আহত কাশ্মীরির চিকিৎসা চলেছে। ঈদের দিনেও থমথমে ছিল ভূস্বর্গ। এ বার মহরমের দিনেও একই চিত্র দেখা গেল উপত্যকাজুড়ে। বেরোল না মহরমের তাজিয়া। কার্যত ঘরেই কাটালেন বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, শ্রীনগরের রাস্তায় ৫০০ মিটার দূরে দূরে ব্যারিকেড গড়া হয়েছে। মোতায়েন রয়েছেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। জায়গায় জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে মিলিটারি ট্রাক। শ্রীনগরে শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলিমদের বাস বেশি। ফলে প্রতি বছরই এখানে বিরাট করে পালন করা হয় মহরম। একাধিক তাজিয়া বের হয় রাস্তায়। কিন্তু এ বার সে সব বন্ধ।
সেনা সূত্রে খবর, আগে মহরম উপলক্ষ্যে বিশাল তাজিয়া হতো শ্রীনগরে। কিন্তু সম্প্রতি সেই সব তাজিয়া থেকে ভারত-বিরোধী ও সেন-বিরোধী স্লোগান দেওয়া হতো। এই পরিস্থিতিতে সেই ধরণের কোনও তাজিয়া হলে উপত্যকার শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। তাই এই সুরক্ষার কড়াকড়ি করা হয়েছে। কেউ নিজেদের বাড়িত পরব পালন করতে চাইলে তাতে কোনও আপত্তি নেই সেনার।
স্থানীয় বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী গুলাম মহম্মদ জানিয়েছেন, “আমরা ছোট থেকে কখনও এই ছবি দেখিনি। ১৯৯০ সালে কিছু সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু এখন আমাদের ওষুধ কিনতেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা সত্যিই বাড়াবাড়ি।”